সর্বকালের সেরা উইকেটরক্ষক কে? – এই প্রশ্নের জবাবে শতকরা অন্তত ৫০ ভাগ লোক নেবেন মহেন্দ্র সিং ধোনির নাম। হ্যাঁ, উইকেটরক্ষক হিসেবে নিজেদের ‘মান’টাকে এতটাই উপরে নিয়ে গিয়েছেন তিনি।
আসলে, কেবল উইকেট রক্ষণ নয়, ধোনি হলেন একজন সত্যিকারের অলরাউন্ডার। তিনি ব্যাট হাতে কখনও পিঞ্চ হিটার, কখনও বা ফিনিশার – নানা ভূমিকায় খেলেছেন ও সফল হয়েছেন। এমনকি ভারতের সাবেক এই অধিনায়ক তার ঠাণ্ডা মস্তিষ্কের জন্য পরিচিত ছিলেন ক্যাপ্টেন কুল নামেও।
অধিনায়ক হিসেবে ক্রিকেট মাঠে যা যা অর্জন করা সম্ভব সবই আছে এমএস ধোনির নামের পাশে। তিনি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয় দিয়ে শুরু করেন। এরপর ভারতের হয়ে কালক্রমে জয় করেন ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপাও। টেস্টে দলকে তিনি নিয়ে যান র্যাংকিংয়ের চূড়ায়।
প্রখর নেতৃত্বগুণ আর উইকেটের পেছনে তাঁর ক্ষিপ্রতা অনেক ম্যাচেই জয় এনে দিয়েছে ভারতকে। ফলে, তাঁকে সেরা মানেন না – এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুস্কর।
তবে, অতি বিরল এই তালিকায় এবার যুক্ত হল রশিদ লতিফের নাম। তিনি ধোনিকে সেরা মানতে নারাজ। বিশেষ করে রশিদ লতিফের চোখে ধোনির উইকেটের পেছনের পরিসংখ্যান যুৎসই লাগেনি।
তিনি নিজের ইউটিউব চ্যানেলে বলেন, ‘ধোনি আগে ব্যাটার, পরে উইকেটরক্ষক। অবশ্যই ধোনি বিরাট একটা নাম। তবে, পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ওর ক্যাচ ছাড়ার পরিমান শতকরা ২১ ভাগ। এই সংখ্যাটা অনেক বড়। অ্যাডাম গিলক্রিস্টের ক্ষেত্রে এটা ১১ শতাংশ। মার্ক বাউচারও ছিলেন দারুণ। অস্ট্রেলিয়ার টিম পেইন ভাল শুরু করেছিল, কিন্তু শেষের দিকে ও অনেক ক্যাচ মিস করতো।’
যদিও, ধোনির স্ট্যাম্পিংয়ের রেকর্ডটা মিস করে যান রশিদ লতিফ। ধোনি সব ফরম্যাট মিলে ১৯৫ টি স্ট্যাম্পিং করেছেন গোটা ক্যারিয়ারে। এটা ক্রিকেট ইতিহাসেই সর্বোচ্চ। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএলে) চেন্নাই কিংস দলের অধিনায়ক মাহি সবচেয়ে দ্রুত গতিতে স্ট্যাম্পিংয়ের রেকর্ডধারী।
সেই সময়টা মোটে ০.০৮ সেকেন্ড। ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মুম্বাইয়ে ধোনির এই ক্ষীপ্রতার শিকার হন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিমো পল। সেই দৃশ্য মুগ্ধ হয়ে দেখেছিল গোটা ক্রিকেট বিশ্ব।
পাকিস্তানের সাবেক উইকেটরক্ষক ও অধিনায়ক রশিদ লতিফের মনে হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্টন ডি কক বেশি এগিয়ে থাকবেন উইকেটরক্ষক হিসেবে। তিনি বলেন, ‘আমি যদি গত ১৫ বছরের দিকে দেখি, তাহলে আমার কুইন্টন ডি কককে দারুণ মনে হয় উইকেটরক্ষক হিসেবে। ও তিন ফরম্যাটেই উইকেটকিপিং করেছে, সাদা বলের ওপেনিংও করে।’
চলতি মাসের শেষে এশিয়া কাপের ম্যাচে মুখোমুখি হবে ভারত-পাকিস্তান। যেকোন ফরম্যাটে তাঁরা সর্বশেষ মুখোমুখি হয়েছিল এই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটেই, ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। সেবারের স্মৃতি মাথায় রেখে রশিদ মনে করেন, ফের ভারতকে হারাতে পারবে পাকিস্তান। তিনি বলেন, ‘ভারত ভুল করেছিল বলে গত বছর পাকিস্তান জিতেছিল। আমার মনে হয় ভারতের ভুলে এবছরও লাভ হতে পারে পাকিস্তানের।’