হারার আগে হারতে নেই। এই ব্রত সিকান্দার রাজার জন্যে রীতিমত টনিক। সেই টনিক সঞ্চারিত হল ড্যারিল মিশেলের ধমনীতেও। ব্যাস! কঠিন মনে হতে থাকা জয়টা সহজেই চলে এলো লাহোর কালান্দার্সের হাতের মুঠোয়। আর মোহাম্মদ রিজওয়ানের মুখ জুড়ে লেপ্টে রইল শুধুই হতাশা।
১৮৬ রান, জয়ের লক্ষ্যমাত্রা। লাহোরের মোটামুটি ধাঁচের একটা শুরু। ব্যাট হাতে ফখর জামানের একেবারে বিপরীত খোলসবন্দী রুপ। এরপর দ্রুত উইকেট হারানো, আবদুল্লাহ শফিকের ধীরলয়ে অ্যাংকরিং করবার ভাবনা- পরিস্থিতি ততক্ষণে ঘোলাটে, জয় তখন বহুদূরের ভাবনা।
কিন্তু সিকান্দার রাজা এলেন বাইশ গজে। আবহাওয়ার বদল ঘটল নিমিশেই। মারকাটারি ব্যাটিংয়ে বাউন্ডারি আদায় করতে শুরু করলেন। ভরসা পেয়ে ড্যারিল মিশেলও আগ্রাসনের পথই বেছে নিলেন।
১০ ওভার শেষে ৭০ রান করা লাহোরের জন্যে পরবর্তী দশ ওভারে করতে হতো আরও ১১৬ রান। তাইতো জয় পাওয়ার আশার প্রদীপ প্রায় নিভু নিভু করছিলই।
কিন্তু সেখান থেকে সিকান্দারের ১৯০ স্ট্রাইকরেটে ইনিংসটি লাহোরের লাইফলাইন হিসেবে প্রমাণিত হয়। অন্যদিকে দৃঢ়তার প্রতীক হয়ে জয়ের রাস্তা মসৃণ করেছেন মিশেল। প্রায় ১৬৯ স্ট্রাইকরেটে ব্যাট চালিয়ে ৬৮ রানে আউট হয়েছেন কিউই এই ব্যাটার। তবে সিকান্দার কিন্তু ঠিকই জয়ের বন্দরে নোঙড় করে তবেই ছেড়েছেন মাঠ।
আর মুলতান সুলতান্সের বোলারদের বেহাল দশা আরও একবার হয়েছে দৃশ্যমান। ব্যাটাররা রান করলেও, বোলাররা ম্যাচে জেতাতে পারছেন না। নিরাশ হওয়া ছাড়া রিজওয়ানের কাছে নেই দ্বিতীয় কোন বিকল্প।