রাজার বাড়িতে রাজা একাই রাজা

পাকিস্তানকে নিজের বাড়িতে পেয়ে সেই ক্ষমতাই দেখালেন সিকান্দার রাজা। ব্যাটে বলে অনন্য রাজার দিনে খুবই ফিঁকে হয়ে ওঠে পাকিস্তান।

রাজপ্রাসাদ যত জীর্ণই হোক, সেই প্রাসাদে রাজাই সবচেয়ে ক্ষমতাশীল। তাঁর সামনে সবাই হাঁটু গেড়ে বসতে বাধ্য। পাকিস্তানকে নিজের বাড়িতে পেয়ে সেই ক্ষমতাই দেখালেন সিকান্দার রাজা। ব্যাটে বলে অনন্য রাজার দিনে খুবই ফিঁকে হয়ে ওঠে পাকিস্তান।

মজার ব্যাপার হল, এই পাকিস্তানই হল ক্রিকেটে সিকান্দার রাজার আঁতুরঘর। পাকিস্তানি বংশদ্ভুত এই সিকান্দার পাকিস্তানে বসেই বিমান চালানোর স্বপ্ন দেখতেন। পরে, পাল্টে যায় জীবনের গতিপথ। ক্রিকেটকে ধ্যানজ্ঞান মেনে এগিয়ে যান। তিনিই এখন জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের ধারক ও বাহক।

আর স্বদেশী জাতীয় দলের সামনে রাজা যেন হয়ে উঠলেন আরও মারাত্মক। ব্যাটি কিংবা বোলিং – যেখানেই তিনি সুযোগ পেয়েছেন – নিজের সেরাটােই দিয়ে গেছেন। মোটে ২০৫ রানেই অলআউট হয়েছিল জিম্বাবুয়ে। এখানে জিম্বাবুয়ের এই অধিনায়ক করেন ৩৯ রান।

জিম্বাবুয়ের ইনিংস খুব বেশি লম্বা হয়নি। ৪১ তম ওভারে গিয়ে তাঁরা অল আউট হয়। এখান থেকে বুলাওয়েতে জিতে যাওয়ার বড় কোনো আশা ছিল না জিম্বাবুয়ের। কিন্তু, পাকিস্তানের ব্যাটিং ধস তাঁদের সেই রাস্তা সহজ করে দেয়।

আর এখানে বড় একটা অবদান ছিল সিকান্দার রাজার। আক্রমণে এসেই তিনি একই ওভারে আউট করেন হাসিবুল্লাহ খান ও আঘা সালমানকে। ব্যাস, ম্যাচ হেলে যায় জিম্বাবুয়ের দিকে। মাত্র ৫৮ রানে ছয় উইকেট হারায় পাকিস্তান।

২১ ওভারে যখন পাকিস্তানের সংগ্রহ ৬০ রান, ঠিক তখনই মুষুল ধারায় বৃষ্টি নামে। সে বৃষ্টি ভাসিয়ে নিয়ে যায় পাকিস্তানের লড়াই করবার টিমটিম করে জ্বলতে থাকা প্রদীপকে। শেষ অবধি রানার অলরাউন্ডিং পারফরমেন্সে ৮০ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে জিম্বাবুয়ে।

Share via
Copy link