বিশ্বকাপে খেলতে আসার আগে জিম্বাবুয়ের সবচেয়ে বড় সমর্থকও হয়তো এতটা প্রত্যাশা করেননি ক্রেইগ আরভিন কিংবা সিকান্দার রাজাদের নিয়ে। ক্রিকেটবোদ্ধারাও তাদের নিয়ে বিশ্লেষণে দুই বাক্য খরচ করতে দ্বিধায় ছিলেন। হিসেবের অনেক বাইরে থেকেই জিম্বাবুয়ে শুরু করেছিল তাঁদের বিশ্বকাপ।
সেই জিম্বাবুয়ে তাদের পারফরম্যান্স দিয়ে এবার সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে। ক্রিকেট বিশ্লেষকরাও মেতেছেন জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটারদের ভূয়সী প্রশংসায় । কেউ গোনায় না ধরলেও আফ্রিকান এই দলকে নিয়ে নতুন করে ভাবছে ক্রিকেট পরাশক্তিরা।
গেল বৃহস্পতিবার পাকিস্তানকে ১ রানে হারিয়ে বিশ্বকে চমকে দেওয়া সিকান্দার রাজারা থামতে চান না এখানেই। তাঁদের লক্ষ্য আরও উঁচু। ম্যাচ শেষে অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজা রীতিমত হুমকি দিয়ে বসলেন বাংলাদেশকে।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে ম্যাচসেরা হওয়া রাজা বলেন, ‘আমরা ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে চাই। এখনই সেমিফাইনালের কথা মাথায় আনছি না। আমাদের পরবর্তী প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ এবং তাদের হারানোই আমাদের সব ধ্যানজ্ঞান।আমরা দাপটের সাথেই ম্যাচটা জিততে চাই।’
এসময় এই অলরাউন্ডার আরও জানান সেমিফাইনাল নিয়ে না ভাবলেও জিম্বাবুয়ে যেকোনো দলকেই হারানোর সামর্থ্য রাখে। তিনি বলেন, ‘আমরা যদিও সেমিফাইনালের কথা ভাবছি না তবে যেকোনো দলকে হারাতে পারি আমরা। মূল কথা, ভালো ক্রিকেট খেললেই জিতবো আমরা। কেউ জানে না জিম্বাবুয়ে কোথায় গিয়ে বিশ্বকাপ শেষ করবে।’
বাংলাদেশ এর সাথে সর্বশেষ সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জয়ের সুখস্মৃতি আছে জিম্বাবুয়ের। সাকিব আল হাসান বাদে ওই সিরিজের বেশিরভাগ সদস্যই এবারের বিশ্বকাপ দলে রয়েছে। নিজেদের সর্বশেষ ম্যাচে যেখানে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে বিধ্বস্ত হয়েছে বাংলাদেশ, বিপরীতে পাকিস্তানকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে আছে ক্রেইগ আরভিনের দল।
আগামী ৩০ অক্টোবরের ম্যাচে জিততে হলে ব্যাট-বল-ফিল্ডিং তিন বিভাগেই অসাধারণ ক্রিকেট খেলতে হবে সাকিব আল হাসানদের। না হলে বাংলাদেশকেও যে পাকিস্তানের ভাগ্যবরণ করতে হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।