ঘরের মাঠে দুই ম্যাচের দুইটিতেই জয়, কিন্তু অন্যের মাঠে খেলতে গেলেই কি যেন হয় – ২০২৪/২৫ মৌসুমে দুইবার প্রতিপক্ষের উঠোনে খেলতে নেমে দু’বারই হোঁচট খেয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। তাই তো নিজেদের ডেরায় তাঁদের আতিথেয়তা দেয়া রিয়াল সোসিয়েদাদ খানিকটা আত্মবিশ্বাসী ছিল, কিন্তু দুই দুইটি পেনাল্টি তাঁদের স্বপ্ন ভেঙেছে।
দলটা অবশ্য নিজেদের দুর্ভাগা ভাবতেই পারে, আর্দা গুলারের দূর পাল্লার শট সার্জিও গোমেজের হাতে লাগলে স্পট কিকের সংকেত দেন রেফারি। ভিনিসিয়াস জুনিয়র ঠান্ডা মাথায় বল জালে জড়ান। তখনই মোমেন্টাম পেয়ে গিয়েছিল তাঁর দল, সেটারই ধারাবাহিকতায় কিছু সময় পর তিনি নিজেই আদায় করে নেন আরেকটি পেনাল্টি।
ভিনিকে আটকাতে গিয়ে জন আরামবুরু করে বসেন লেট চ্যালেঞ্জ; এবার অবশ্য সাম্বা বয় বল তুলে দিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পের হাতে। ফরাসি তারকা গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে ভরসার প্রতিদান দিতে ভুল করেননি একটুও।
অথচ স্কোরবোর্ড বাদে ম্যাচের গল্পটা একটু ভিন্ন, বিশেষ করে প্রথম এক ঘন্টায় একের পর এক আক্রমণ সামলাতে সামলাতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল রিয়াল মাদ্রিদের রক্ষণ, গোলবারের বাঁধা না থাকলে প্রথমার্ধেই দুই গোল হজম করতে হত তাঁদের। ঘরের মাঠে রিয়াল সোসিয়েদাদ কতটা চেপে ধরেছিল লস ব্ল্যাঙ্কোসদের সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। বিরতির পরও আরও একবার গোলবারে লেগে ফিরে এসেছিল সোসিয়েদাদের প্রচেষ্টা।
তাই তো আরেকটা অনাকাঙ্ক্ষিত ফলাফলের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন সমর্থকেরা। তবে শেষমেশ স্বস্তি নিয়েই মাঠ ছেড়েছে ভিনিসিয়াস, এমবাপ্পেরা। দুই পেনাল্টির সৌজন্যে অ্যাওয়ে ম্যাচে জয় তুলে নিলো দলটি, চলতি মৌসুমে এই প্রথম অ্যাওয়ে ম্যাচে জয় পেল তাঁরা।
যদিও এখনই আনন্দ করার সুযোগ নেই, ভাগ্য পাশে না থাকলে পয়েন্ট হারাতে হতো অল হোয়াইটদের। আক্রমণভাগে জুড বেলিংহ্যামের অভাবের কারণেই কি না, সমন্বয়ের অভাব ছিল চোখে পড়ার মতই। তিনি ফিরলে রিয়ালের আক্রমণ নিশ্চয়ই আরও তীক্ষ্ণ হবে।