রিয়াল মাদ্রিদ কারও জন্য থেমে থাকে না। কত মহারথী এসেছেন, আবার চলেও গেছেন – তাতে শিরোপার মিছিলে কোনো ভাঁটা পড়েনি। রাউল গঞ্জালেস, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো কিংবা করিম বেনজেমা – সবাই এসে নানা কীর্তি গড়ে চলেও গেছেন।
সেই চলে যাওয়ায় রিয়াল মাদ্রিদ তাঁর গৌরব হারায়নি এক বিন্দুও। বরং, এই তারকারাই রিয়ালে এসে নিজেদের অমর করে তুলেছেন। রিয়ালের গ্রেটনেসের মুকুটে যোগ হয়েছে একেকটা করে নতুন অর্জনের পালক।
চার ম্যাচ হাতে রেখে রিয়াল জিতল লা লিগার শিরোপা। এ আর নতুন কি! ৩৬ তম বার স্প্যানিশ শ্রেষ্ঠত্বের চূড়ায় লেখা হল মাদ্রিদের নাম। লা লিগার ইতিহাসের সবচেয়ে সফল ক্লাবটির নামই তো রিয়াল মাদ্রিদ। রিয়াল মাদ্রিদই তো স্পেনের রাজা, ফুটবল বিশ্বের সবচেয়ে রাজকীয় ক্লাব।
রিয়ালের শিরোপা নিশ্চিত করতে তুলনামূলক পুঁচকে দল জিরোনার অবদানও কম নয়। রিয়াল ৩-০ ব্যবধানে হারায় কাদিজকে, আর জিরোনা হারায় খোদ বার্সেলোনাকে। জিরোনার কাছে চলতি লিগের দু’টো ম্যাচই কাতালানরা। দ্বিতীয়বারের মুখোমুখিতেও ব্যবধান একই, ৪-২! জাভি হার্নান্দেজের দল দু’বার এগিয়ে গিয়েও শেষ রক্ষা করতে পারেনি।
এই জয়টি জিরোনাকে পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে উঠিয়ে এনেছে। ৩৪ ম্যাচে দলটির পয়েন্ট ৭৪। আগামী মৌসুমে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলাও নিশ্চিত করেছে জিরোনা। সমান ম্যাচে চ্যাম্পিয়ন রিয়ালের পয়েন্ট ৮৭। আর তিনে নেমে যাওয়া বার্সার পয়েন্ট ৩৪ ম্যাচে ৭৩।
দ্বিতীয় স্থানে থাকা দলের চেয়ে ১৩ পয়েন্ট এগিয়ে থেকে জয়। এতেই বোঝা যায়, এই মৌসুমে কতটা রূদ্রমূর্তিতে ছিলেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র কিংবা জুড বেলিংহ্যাম।
কোচ হিসেবে কার্লো অ্যানচেলত্তিও নিজেকে নিয়ে গেলেন আরও এক ধাপ ওপরে। ম্যানেজার হিসেবে ২৬ তম শিরোপা জয় করলেন ক্লাব ফুটবলের ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই কোচ। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের সবগুলোর শিরোপাই আছে তাঁর। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, লা লিগা, সিরি এ, বুন্দেসলিগা, লিগ ওয়ান – বাদ নেই কোনো কিছুই।
তাছাড়াও রেকর্ড চার বারের উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী কোচও তিনি। হয়তো সংখ্যাটা পাঁচ হয়ে যেতে পারে দ্রতই। ক্যাবিনেটে যোগ হতে পারে আরেকটা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ট্রফি। তাহলে, রিয়ালও অমরত্বের আরেক চূড়ায় উঠবে।