নিজের দুই মার্কারকে পিছনে ফেলে জুড বেলিংহ্যামের থ্রু বল নিয়ন্ত্রণে নেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র, বার দুয়েক স্টেপ ওভার করে গোলরক্ষককেও পিছনে ফেলে দেন তিনি। শট মারলেই গোল, সেই অপেক্ষাতেই ছিলেন সমর্থকেরা। কিন্তু তিনি নিঃস্বার্থভাবে বল ঠেলে দিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পের দিকে, ফাঁকা পোস্টে গোল করতে কোন ভুল হয়নি তাঁর।
ভিনি জানতেন কতটা চাপের মধ্যে আছেন এমবাপ্পে, আর সতীর্থ যদি চাপের ভারে পিষ্ট হয়ে যায় তাহলে দলের জন্য কখনোই শতভাগ দিতে পারবে না। হয়তো সেই ভাবনা থেকেই নিজের নিশ্চিত গোলটা তিনি তুলে দিয়েছেন এমবাপ্পের পাতে।
এর মধ্য দিয়ে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে প্রথম দুই ফাইনালেই গোল করার বিরল কীর্তি গড়লেন ফরাসি তারকা। তিনি ছাড়া গত দশ বছরে স্রেফ দুইজন পেরেছেন এমন কীর্তি গড়তে, একজন গ্যারেথ বেল এবং অন্যজন মার্কো আসেনসিও।
এদিন অবশ্য গোল করে থেমে যাননি সবশেষ বিশ্বকাপে গোল্ডেন বুটজয়ী স্ট্রাইকার। একেবারে করিম বেনজেমা স্টাইলে মিডফিল্ড থেকে বল নিয়ে সুযোগ তৈরি করে দিয়েছেন রদ্রিগোকে। তাঁর তৈরি করে দেয়া স্পেস কাজে লাগিয়ে দেখার মত একটা গোল করেছেন রদ্রিগো – শুরুতে বামে ড্রিবল করেছিলেন তিনি, এরপরই তড়িতগতিতে ডান দিকে ঘুরে বাঁকানো শট নেন এই ব্রাজিলিয়ান এবং ফলাফল গোল!
ম্যাচের শেষদিকে পাচুচার কফিনে তৃতীয় পেরেক ঠুকে দেন স্বয়ং ভিনি। লুকাস ভাস্কুয়েজের আদায় করা পেনাল্টি থেকে জালের ঠিকানা খুঁজে নিয়েছিলেন তিনি। তাতেই ৩-০ গোলের বড় জয় নিশ্চিত হয় রিয়ালের; সেই সাথে হাতে তুলে নেয় মৌসুমের দ্বিতীয় শিরোপা – ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ।
ভিনি, এমবাপ্পে, রদ্রিগো – ফ্রন্টলাইনের তিনজনেই গোল পেয়েছেন। মিডফিল্ডাররা গোলের পথ তৈরি করেছেন বারবার, রক্ষণভাগও ছিল রক সলিড। সবমিলিয়ে ম্যাচটা ছিল লস ব্ল্যাঙ্কোসদের জন্য পারফেক্ট উইন। দিন দুয়েক পরেই তাঁরা মুখোমুখি হবে সেভিয়ার, ফাইনাল জেতার আত্মবিশ্বাস সেই ম্যাচে টেনে নিয়ে যেতে পারে কি না সেটাই এখন দেখার বিষয়।