রেকর্ডের আরেক নাম যেন রিয়াল মাদ্রিদ। একের পর এক রেকর্ডের পাহাড় গড়েই যাচ্ছে কার্লোস আনচেলত্তির শিষ্যরা। ইউরোপের মাটিতে মজবুত করে যাচ্ছে তাঁদের সাম্রাজ্য। সম্প্রতি জার্মান ক্লাব বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে হারিয়ে নিজেদের ১৫ তম চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা ঘরে তোলে লুকা মদ্রিচ-ফেডরিকো ভালভার্দেরা।
তবে ২৭ বছরের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপার দুঃখকে মুছতে ব্যর্থ হয়েছে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। ২০১৩ সালে লন্ডনের এই উইম্বেলেতেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে হেরেছিল তাঁরা। আর এবার পেল আরও একটি লজ্জার পরাজয়। প্রথমার্ধে দাপটের সাথে খেললেও, দ্বিতীয়ার্ধে অনেকটা আত্মসমর্পনই করতে হয় লস ব্লাঙ্কোসদের কাছে। এই ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদ যতটা না জিতেছে, তার চেয়ে বেশি হেরেছে এডিন টেরজিকের শিষ্যরা।
প্রথম থেকেই একের পর এক আক্রমণ চালাতে থাকে দ্যা ব্ল্যাক এন্ড ইয়েলোসরা। রিয়াল মাদ্রিদের গোল পোস্ট চীনের মহাপ্রাচীরের মত ঠাই দাড়িয়ে আগলে রাখেন থিবো কোর্তোয়া। দ্বিতীয়ার্ধে সময় ফুরানোর সাথে সাথে স্প্যানিশ জায়ান্টদের আক্রমণের ধার বাড়তে থাকে। ভিনিসিয়াস জুনিয়রদের কৌশল আর ক্ষিপ্রতার কাছে অবশেষে হার মেনে নিতে হয় তাঁদের।
রিয়াল মাদ্রিদ তাঁদের প্রথম গোলের দেখা পায় ৭৪ মিনিটে। কর্ণার থেকে আসা একটি বল দানি কারভাজালের মাথা ছুঁয়ে ঢুকে যায় ডর্টমুন্ডের জালে। উল্লাসে ফেটে পড়ে পুরো গ্যালারি। ১০ মিনিটের ব্যবধানে জ্যুড বেলিংহ্যামের পাসে ভিনিসিয়াস জুনিয়রের আক্রমণ। অনেকটা অসহায় আত্মসমর্পণই করেন ডর্টমুন্ডের গোলরক্ষক গ্রেগর কোবেল। ফলে ২-০ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে কিংস অফ ইউরোপরা।
রেকর্ড ১৫ বারের মত চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা নিজেদের ঘরে তুলেছে রিয়াল মাদ্রিদ। অন্যদিকে, বস আনচেলত্তি চুইংগাম চিবুতে চিবুতে মাঠের সীমানায় দাঁড়িয়েই জিতেছেন পঞ্চম বারের মত। আর নিজের বিদায় বেলাকে বিজয়ের রঙে রাঙিয়ে গেলেন রিয়াল মাদ্রিদের জার্মান মিড ফিল্ডার টনি ক্রুস। দানি কারভাজাল, লুকা মদ্রিচ আর নাচো ফার্নান্দেজের সাথে সর্বোচ্চ ষষ্ঠ বারের মত জিতে নেন এই শিরোপা।
রিয়াল মাদ্রিদ কথা রাখে, চোখের কোণায় এনে দেয় হতাশার বদলে আনন্দের অশ্রু। তাইতো প্রতি ম্যাচেই রিয়াল মাদ্রিদ দেখিয়ে যাচ্ছে ইউরোপের মাটিতে তাঁদের একচ্ছত্র আধিপত্য। আর সময় বৃদ্ধির সাথে সাথে ইউরোপের ক্লাবের অমরত্বের তকমাটা নিজেদেরই করে নিচ্ছে লস ব্লাঙ্কোসরা।