একের পর এক আক্রমণের পরেও কোস্টারিকার বিরুদ্ধে গোলের দেখা পাননি ভিনিসিয়াস জুনিয়র ও তাঁর সতীর্থরা। ফলে সেই ম্যাচে বেশ হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় ডরিভাল জুনিয়রের শিষ্যদের। কোস্টারিকার বিরুদ্ধে এমন ড্রয়ের ফলে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিল ভিনিসিয়সের দিকে। ক্লাব পর্যায়ে অসাধারণ খেলা ভিনি কি তবে ব্রাজিলের জার্সি গায়ে ব্যর্থ!
তবে নিজের সমালোচনাকে মাটি চাপা দিতে সময় নেননি ভিনি। প্যারাগুয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচেই নিজের চেনা স্বরুপে ফেরেন তিনি। ড্রিবলিং ও ফিনিশিংয়ে বিপক্ষ দলের রক্ষণ বিভাগ ধ্বংস করেন ভিনি।
রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে দুর্দান্ত একটি মৌসুম কাটিয়ে কোপা আমেরিকাতে প্রবেশ করেছিলেন ভিনিসিয়াস। ক্লাবের হয়ে লা লিগার সাথে জিতেছেন ক্লাব পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ মুকুট চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা। তবে কোপা আমেরিকার প্রথম ম্যাচে কোস্টারিকার বিরুদ্ধে ব্যার্থ ছিলেন তিনি। কোনোভাবেই বিপক্ষ দলের রক্ষণ ভাঙতে পারেননি ভিনি জুনিয়র ও তাঁর সতীর্থরা।
তবে প্যারাগুয়ের বিরুদ্ধে প্রথমার্ধেই জ্বলে উঠে তারুণ্য নির্ভর ব্রাজিল দল। বিশেষ করে নেইমার জুনিয়রের অনুপস্থিতিতে দলের সেরা তারকা ভিনিসিয়াস জুনিয়র। ৩৫ মিনিটে ব্রাজিলের প্রথম গোল করে দলকে এগিয়ে নেন ভিনিসিয়াস। সেখানেই থেমে ছিলেন না তিনি। হাফ টাইমের অতিরিক্ত সময়ে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন ভিনি।
তবে এর আগে ৪৩ মিনিটে ব্রাজিলের দ্বিতীয় গোল করেন সাভিও।ফলে প্রথমার্ধে ৩-০ গোলের লীড নিয়ে বিরতিতে যায় ব্রাজিল। যদিও ব্যাবধানটি ৪-০ হতে পারতো। তবে ৩২ মিনিটে পেনাল্টি কিক থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন লুকাস পাকুয়েতা।
তবে দ্বিতীয়ার্ধে আর ভুল করেননি তিনি। ৬৩ মিনিটে আবারও বক্সে হ্যান্ড বলের জন্য পেনাল্টি পায় ব্রাজিল। স্পট কিক থেকে এবার নিখুঁত শটে গোল করেন পাকুয়েতা। দ্বিতীয়ার্ধে শুরুতে আলডেরেটের গোলে অবশ্য ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিল প্যারাগুয়ে। তবে ব্রাজিলের পাল্টা আক্রমণে আবারও রক্ষণ সামলাতে ব্যস্ত হয়ে যায় তাঁরা।
৪-১ ব্যবধানে এগিয়ে থাকা ব্রাজিলের উপর চড়াও হতে গিয়ে ৮১ মিনিটে লাল কার্ড দেখেন কুবাস। ফলে ১০ জনের প্যারাগুয়ের বিরুদ্ধে জয় নিশ্চিত হওয়ায় খেলোয়াড় বদলি করতে থাকেন ডরিভাল। তবে শেষ পর্যন্ত খেলে যান ভিনিসিয়াস। ম্যাচে পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসেন তাঁরা। ৩ জুন টেবিলের শীর্ষে থাকা কলম্বিয়ার বিপক্ষে গ্রুপ পর্যায়ে নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলবে ব্রাজিল।