রিঙ্কু সিং রান করতে পারছেন না – সেটা বলার উপায় নেই। অফ ফর্মে আছেন বললে, তাঁর সাথে রীতিমত অন্যায়ই করা হবে। কিন্তু, গেল ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) মত ইমপ্যাক্ট কি তিনি আদৌ দেখাতে পারছেন? – এই প্রশ্নের জবাবে রিঙ্কু নিজেও হয়তো ‘না’ বোধক উত্তরই দেবেন।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষেও রিঙ্কু ১৬ বলে ২৪ রান করেছেন। স্ট্রাইক রেট ১৫০। এই ইনিংস নিয়ে সমালোচনার খুব বেশি সুযোগ নেই। তবে, এটুকু অন্তত বলা যায় – রিঙ্কু নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারলে দলীয় স্কোরটা দিব্যি ২৫০ ছুঁয়ে ফেলত।
বিশেষ করে ওপেনিংয়ে নেমে যখন ফিল সল্ট ১৪ বলে ৪৮ রানের ইনিংস খেললেন, তখন রিঙ্কুর ইনিংস নিয়ে প্রশ্ন তোলার অবকাশ থাকছেই। গেল আসরের ধুন্ধুমার ব্যাটিং তাণ্ডবের পসরা খুলে বসা রিঙ্কু এবার খেলছেন নিজের ছায়া হয়েই।
২০২৩ সালে রিঙ্কু ৪৭৪ রান করেছিলেন প্রায় ১৫০ স্ট্রাইক রেটে। এবার এখন পর্যন্ত রিঙ্কুর স্ট্রাইক রেট গেল বারের চেয়ে ভাল। ১৬৩.০৭ স্ট্রাইক রেটে খেলেছেন। অথচ, রান করেছেন মাত্র ১০৬। গত আসরে চারটা হাফ সেঞ্চুরি থাকলেও এবার এখন পর্যন্ত ৩০-এর ওপরই নিতে পারেননি নিজের রান।
কলকাতা নাইট রাইডার্সের সংকট এখানেই। শেষের দিকে নিয়মমাফিক ঝড় তুলবেন, মাঝের ওভারগুলোতে রানের চাকা সচল রাখবেন টি-টোয়েন্টির মেজাজে – এই চরিত্রের বড় অভাব। রিঙ্কু সিং বা শ্রেয়াস আইয়ার – কেউই প্রত্যাশার চাপ মেটাতে পারছেন না।
সামনেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আর আমেরিকায় অনুষ্ঠিতব্য সেই বিশ্বকাপে পাওয়ার হিটার খুবই দরকার ভারতের। রিঙ্কু সিং খুব সম্ভবত সেই পরিকল্পনা থেকে বাদ পড়তে চলেছেন। পরিস্থিতিটা এমন যে রিঙ্কুর চেয়ে বরং স্লগার হিসেবে এগিয়ে আছেন বুড়িয়ে যাওয়া দীনেশ কার্তিক।
যদিও, রিঙ্কুর হাতে সময় আছে। সামনের ম্যাচগুলোতে সমস্যা কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবেন তিনি। তবে, সেটা না হলে নিশ্চিত ভাবেই বিশ্বকাপ দলে জায়গা হারাবেন তিনি!