সেঞ্চুরিটা করলেন ছক্কা হাঁকিয়ে, এরপর নিজের ট্রেডমার্ক ‘ডিগবাজি’ সেলিব্রেশন। ঋষাভ পান্ত সবকিছু নিজের করে নিলেন, সবটাই যেন তাঁর পরিকল্পনা মাফিক হলো। নিজের সপ্তম টেস্ট শতকটি করলেন একেবারে ফিয়ারলেস মুডে।
ব্যাটিংয়ে নেমে নিজের খেলা দ্বিতীয় বলে বেন স্টোকসকে তেড়ে গিয়ে বাউন্ডারি হাঁকান। টেস্ট ক্রিকেটে এমন সাহস বোধহয় একমাত্র ঋষাভ পান্তেরই আছে।
এখানেই শেষ নয়। প্রথম দিনের শেষ ওভার তখন। দিনের শেষটাতে ব্যাটাররা কিছুটা রক্ষণাত্মক মুডে থাকেন, উইকেট বাঁচিয়ে নিজের ইনিংসটাকে পরের দিনের জন্য তুলে রাখতে চান।
তবে পান্ত অন্য ধাঁচে গড়া, যেন কোনও কিছুর পরোয়া তিনি করেন না। ভারতের স্কোরবোর্ডে তখন ৩৫১/৩, এমন সময় ক্রিস ওকসের লেংথ ডেলিভারির সামনে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগের ওপর দিয়ে ছয় হাঁকালেন। পুরো মাঠটাই যেন থমকে গেল, অবাক হয়ে থাকলো সবাই।
ঋষাভ পান্ত তো এমনই। আর পাঁচজন টেস্ট ব্যাটারের মতো তিনি ক্রিকেটের গ্রামার মেনে ব্যাট করেন না, খেলেন নিজের মতো করে। টেস্ট ক্রিকেটের সংজ্ঞাটাই যেন পালটে দিয়েছেন তিনি।
৪৪তম ম্যাচে নিজের সপ্তম সেঞ্চুরির দেখা পেলেন। ইনিংস জুড়ে একবারের জন্যও তাকে ধুঁকতে দেখা যায়নি। পুরোটা সময় রাজত্ব করেছেন ইংলিশ বোলারদের বিপক্ষে। জয়সওয়াল, গিলের পর একই ইনিংসে তুলে নিয়েছেন নিজের ম্যাজিকাল হান্ড্রেড।
এই ইনিংসের মধ্য দিয়ে পান্ত ছুঁয়ে ফেলেছেন আরেকটি মাইলফলক। দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া—এই ‘সেনা’ দেশগুলোতে তিনি এখন এশিয়ার সবচেয়ে বেশি রান করা উইকেটকিপার ব্যাটার।
জীবন যাকে একবার সুযোগ দেয়, তার হয়তো ভয় থাকে না, হারানোর সংশয় থাকে না। পান্ত যেন তাই করছেন, ফিরে পাওয়া জীবনটা ফুটিয়ে তুলছেন ক্রিকেট মাঠে। ব্যাট হাতে শাসন করছেন, জানান দিচ্ছেন—সময়টা আমার, এই রাজত্বটাও আমার।