বারংবার রিশাদ হোসেন বনে যাচ্ছেন বাংলাদেশের ত্রাণকর্তা। এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি সম্ভবত তরুণ এই লেগ স্পিনার। প্রায় প্রতিটা ম্যাচেই উইকেটের দেখা পেয়েছেন তিনি। সেমিফাইনালে যাওয়ার সামান্য আশার প্রদীপে জ্বালানির জোগান দিয়েছেন রিশাদ।
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেট শিকার করেছেন রিশাদ হোসেন। সে যাত্রায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে সুপার এইটে নিজেদের শেষ ম্যাচেও বাগিয়েছেন ৩টি উইকেট। ক্যাচ মিস না হলে সংখ্যাটা ৫ হলেও হতে পারত। কিন্তু তা হয়নি।
তবে রিশাদ ঠিকই বাংলাদেশকে গুরুত্বপূর্ণ সব উইকেট এনে দিয়েছেন। আফগানদের মূল শক্তির জায়গা তাদের ওপেনিং জুটি। সেই ওপেনিং জুটিতে ভাঙন ধরিয়েছেন তিনিই। ইব্রাহিম জাদরানকে নিজের প্রথম উইকেটে পরিণত করেন। লং অফে দূর্দান্ত ক্যাচ লুফে নেন তানজিম হাসান সাকিব।
এরপর আরেক ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজকেও ফিরিয়েছেন তিনি। ডিপ কাভার অঞ্চলে সৌম্য সরকার ক্যাচ ধরতে কোনরকম ভুল করেননি। ঠিক একই ওভারে রিশাদ আবার আঘাত হানেন আফগান শিবিরে। এবারও ক্যাচ ধরেন সৌম্য। তবে এবার ডিপ কাভার থেকে অনেকটা সামনে দৌড়ে এসে ক্যাচ নেন সৌম্য।
তাতেই তিনটি উইকেট জমা পড়ে রিশাদের নামের পাশে। স্বল্প রানে আফগানিস্তানকে আটকে রাখার ম্যাচে তুলনামূলক রান একটু বেশিই হজম করেছেন। ৬.৫০ ইকোনমিতে ২৬ রান খরচ করেছেন রিশাদ। যদিও উইকেট শিকার করে তা পুষিয়ে দিয়েছেন।
এখন অবধি ১৪টি উইকেট বাগিয়েছেন রিশাদ। এবারের বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীদের তালিকায় তিন নম্বরে রয়েছে তার অবস্থান। সকল প্রতিকূলতা পেড়িয়ে রিশাদের বাংলাদেশের একাদশে স্থায়ী হওয়ার। তারপর প্রায় স্বপ্নের মত করে কাটানো বিশ্বকাপটা সহসাই ভুলে যাবেন না রিশাদ। এই বিশ্বকাপের শিক্ষা নিয়ে নিজেকে আরও বিধ্বংসী করে গড়ে তুলবেন ভবিষ্যতে, সেটাই হয়ত সকলেই প্রত্যাশা করছে।