বাংলাদেশের একাদশ: রিয়াদ আউট, নাসুম ইন

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের পরিকল্পনা হবে একটু ভিন্ন। আফগানদের বিপক্ষে ষষ্ঠ বোলার ছাড়া খেলতে নামলেও, জশ বাটলারদের বিপক্ষে হবে এর ব্যতিক্রম। ফলে, একাদশে ঢুকে যেতে পারেন নাসুম আহমেদ।

এর অর্থ হল, এক ব্যাটার কম খেলাবে বাংলাদেশ দল। সেক্ষেত্রে সমাধান হতে পারে দু’টি। টপ অর্ডারে এক ব্যাটার কমে আসতে পারে, কিংবা কমতে পারে লোয়ার মিডল অর্ডারে।

টপ অর্ডারে মানে, প্রচলিত একজন ওপেনার কম খেলাবে বাংলাদেশ দল। লিটন কুমার দাস ও তানজিদ হাসান তামিমের মধ্যে থেকে বাদ পড়বেন একজন। মেকশিফট ওপেনারের দায়িত্বটা আবারও পালন করবেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

যদিও, কোয়ালিটি পেস বোলিংয়ের বিপক্ষে মিরাজের একটু দুর্বলতা আছে। ফলে, মিরাজকে একদম ইনিংসের শুরুতে মার্ক উড ও স্যাম কারেনের মত বোলারের সামনে ছেড়ে দেওয়াটা ঠিক মোক্ষম পরিকল্পনা হল না।

অন্যদিকে, লিটন ও তানজিদকে আরেকটু সময় দেওয়ার পক্ষে টিম ম্যানেজমেন্ট। বরং ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মিরাজ আরেকটু নিচের দিকে ব্যাট করতে নামতে পারেন।

সেই বিবেচনায়, লোয়ার মিডল অর্ডারে কোনো একজন বাদ পড়তে যাচ্ছেন। সেটা হতে পারেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তিন সিরিজ পর তিনি দলে ফিরেছিলেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দেশের বিপক্ষে, দেশের মাটিতে। তবে, এখন অবধি তাঁর কাছ থেকে বলার মত ভূমিকা পায় নি বাংলাদেশ দল।

আর যখন খেললেও আট নম্বরেই ব্যাট করতে হবে রিয়াদকে, সেখানে নাসুম আহমেদও মন্দ নয়। গেল এশিয়া কাপেও ভারতের বিপক্ষে ৪৪ রানের একটা ইনিংস আছে তাঁর। সেদিন চাপের মুখে মারমুখী ব্যাটিং করেন তিনি।

আর প্রতিপক্ষ যখন ইংল্যান্ড তখন নিজেদের বোলিং অস্ত্রের সংখ্যা একটু বাড়াতেই চাইছেন অধিনায়ক সাকিব। সেদিক থেকে রিয়াদের জায়গায় নাসুমের খেলার সম্ভাবনাই বেশি। ধর্মশালার কন্ডিশন, উইকেট ও আউটফিল্ডও এখানে মাথায় রাখছে বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট।

যদিও, একাদশের এই সকল আলোচনা কেবলই অনুমান। অধিনায়ক যখন সাকিব আল হাসান, দ্য ক্যাপ্টেন কুল – তখন অভাবনীয় কিছুও তিনি করে বসতে পারেন।

লেখক পরিচিতি

সম্পাদক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link