এক ওভারে পাঁচ ছক্কা, তবুও হল না শেষ রক্ষা। রিয়ান পরাগের একক লড়াইয়ের শেষে রাজস্থান রয়্যালস হারল স্রেফ এক রানের ব্যবধানে। অনবদ্য ব্যাটিং নৈপুন্যের দেখা মিলল রিয়ানের কাছ থেকে। শেষকালে শ্বাসরুদ্ধকর রোমাঞ্চের মঞ্চায়নও হল। কিন্তু জয় আর পাওয়া হল না রাজস্থানের।
২০৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা রাজস্থান রয়্যালস শুরুতেই হারায় দুইটি উইকেট। জশ্বসী জয়সওয়ালও বেশিদূর এগোতে পারেননি। এমন পরিস্থিতির সামনে দাঁড়িয়ে একাই লড়লেন রিয়ান পরাগ। সেঞ্চুরির খুব কাছে গিয়ে থেমেছেন রাজস্থানের অধিনায়ক।
৪৫ বলে ৯৫ রানের ইনিংসটিতেই জয়ের ক্ষীণ স্বপ্ন হয়েছিল প্রবল। তবে রিয়ানের ছক্কা ঝড়ে ম্যাচের মোমেন্টাম ঘুরেছিল মঈন আলীর এক ওভারে। দ্বিতীয় বলে স্ট্রাইকপ্রান্তে যাওয়া রিয়ান টানা পাঁচটি ছক্কা হাঁকান মঈনের বলে। তার এই প্রতাপ থেকে বাঁচতে ওয়াইড বলও করেন মঈন। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি, শেষ বলেও ছক্কাই হজম করতে হয়েছে তাকে।
দ্রুত বেশ কয়েকটি উইকেট হারানো রাজস্থান ম্যাচে টিকে ছিল রিয়ানের ব্যাটে। ছয় চার ও আট ছক্কায় তার ২১১ স্ট্রাইকরেটের ইনিংসটি কলকাতা নাইট রাইডার্সের গলার কাটায় পরিণত হয়েছিল। হার্শিত রানা এলেন কলকাতার উদ্ধারকারী জাহজ হয়ে। প্যাভিলিয়নে ফেরান রিয়ানকে।
তখনও জয়ের সাথে রাজস্থানের দূরত্ব মোটেও কম ছিল না। শেষ ওভারে ২২ রান তুলতে হতো জয় পেতে হলে। ইম্প্যাক্ট সাব হিসেবে নামা শুভাম দুবে ম্যাচটাকে জমিয়ে রীতিমত ক্ষীর বানিয়ে ফেলেন। তিন বলে দুই ছক্কা ও এক চারে ম্যাচকে নিয়ে আসেন এক হাত দূরত্বে।
কিন্তু শেষ অবধি তিনিও দলের তরী ভেড়াতে পারেননি জয়ের বন্দরে। তবে শুভামের শেষ চেষ্টা চালানোর মঞ্চটা অবশ্য রিয়ানই তৈরি করে দিয়েছিলেন। একটা প্রান্ত আগলে রেখে আগ্রাসনকে সঙ্গী না বানালে হয়ত বহু আগেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যেতে পারত রাজস্থান।