রিজওয়ান কি ঠিকঠাক ইংরেজি বলতে জানেন?

সেসময় অনুষ্ঠানের প্যানেলে ছিলেন পাকিস্তানের তিন সাবেক ক্রিকেটার - মোহাম্মদ আমির, রশিদ লতিফ এবং মোহাম্মদ শেহজাদ। তিনজনেই উপস্থাপকের এমন অভিনয়ে ব্যাপক মজা পেয়েছেন। শেহজার তো চেয়ার থেকেই প্রায় পড়ে গিয়েছিলেন হাসতে হাসতে। 

পারফরম্যান্সের কারণে পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা এখন হরহামেশাই ট্রলের শিকার হচ্ছেন। তবে এবার ভিন্ন কারণে বিদ্রুপের মুখোমুখি হতে হলো অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ানকে। সংবাদ মাধ্যমে তাঁর কথা বলার ধরন নিয়ে হাসি তামাশা করেছেন দেশটির জনপ্রিয় টিভি উপস্থাপক তাবিশ হাশমী। সেই সাথে রিজওয়ানকে স্রেফ ইংরেজি না বলে যুক্তিসঙ্গত কথা বলার পরামর্শ দেন।

জিও টিভির একটি শো ‘হারনা মানা হ্যায়’-তে ঘটেছে এমন ঘটনা। আর সঙ্গে সঙ্গে ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সর্বত্র। ক্রিকেটাঙ্গনে অবশ্য দুই ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে, ভক্তদের এক অংশ এটাকে গঠনমূলক সমালোচনা মনে করছে। তবে আরেক অংশ ভালোভাবে নিতে পারেনি, কারো কথা বলার ধরণ নিয়ে ব্যঙ্গ করা ঠিক হয়নি।

হাশমী বলেন, ‘রিজওয়ান পঁচিশ কোটি মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে। আমরা চাই আমাদের প্রতিনিধি ঠিকভাবে কথা বলুক, যুক্তি থাকুক তাঁর কথায়, ভাল খেলুক। কিন্তু যখন তাঁকে কথা বলতে দেখি সংবাদমাধ্যমের সামনে বা এমন কোথাও, আমরা লজ্জা পেয়ে যাই।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমি বলছি না তাঁকে ইংরেজিতে কথা বলতে হবে, সে উর্দুতে বলুক। কিন্তু কথায় যুক্তি থাকতে হবে। মাঝে মাঝে আপনি জিতবেন নাহলে শিখবেন এসব কি ধরনের কথা? আবার এটাও তো বলেছে, মাঝে মাঝে ক্র্যাম্প হয়, মাঝে মাঝে স্রেফ অভিনয়।’

সেসময় অনুষ্ঠানের প্যানেলে ছিলেন পাকিস্তানের তিন সাবেক ক্রিকেটার – মোহাম্মদ আমির, রশিদ লতিফ এবং মোহাম্মদ শেহজাদ। তিনজনেই উপস্থাপকের এমন অভিনয়ে ব্যাপক মজা পেয়েছেন। শেহজার তো চেয়ার থেকেই প্রায় পড়ে গিয়েছিলেন হাসতে হাসতে।

পরবর্তীতে হাশমী অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে পাকিস্তানের তুলনা করে বলেন, ‘আমরা জিতব নাহলে শিখব এই ধরনের কথা অস্ট্রেলিয়ার মত হলে বলা যায়। যখন আপনি জিততেই পারছেন না, লাগাতার হারছেন তখন এসব বলার মানে কি?’

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের বিপক্ষেও ঘুরে দাঁড়াতে ব্যর্থ হয়েছে পাকিস্তান। ফলাফল, টুর্নামেন্ট থেকে বাদ পড়েছে আয়োজকরাই। এখন দেখার বিষয়, খাদের গভীর থেকে উঠে আসতে পারে কি না পাকিস্তান ক্রিকেট।

Share via
Copy link