রিজওয়ানের ব্যাটে ভর করে হেরেছে পাকিস্তান। জ্বি, ভুল পড়েন নি। স্কোরকার্ড ৬২ বলে ৭৪ রানের তথ্য জানালেও, দক্ষিন আফ্রিকার বিপক্ষে পাকিস্তানের ১ম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে পরাজয়ের কারণ পাকিস্তানের অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান।
ডেভিড মিলারের ব্যাটিং ঝড়ে দক্ষিন আফ্রিকা প্রথমে ব্যাটিং করে স্কোরবোর্ডে ১৮৩ রানের সংগ্রহ দাড় করায়। ওভারপ্রতি ৯ আস্কিং রানরেট নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তান প্রথম ১০ ওভারে রান তুলতে পারে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ৭৮। অধিনায়ক রিজওয়ান ৩১ বল খেলে ব্যাটিং করছিলেন মাত্র ২৪ রানে। তরুন সায়িম ১৫ বলে ৩১ রান করেছিলেন বলেই স্কোরকার্ড কিছুটা হলেও ভদ্রস্থ মনে হয়েছে।
পরবর্তী ৫ ওভারে রিজওয়ানের ব্যাটিংয়ের আরো অবনতি ঘটে। আস্কিং রানরেট যখন ১০ এর উপরে, রিজওয়ান তখন ১৪ বলে করেছেন মহামূল্যবান ১২ রান! এই পর্যায়ে এসে দর্শকরা দ্বিধান্বিত হতে পারেন, রিজওয়ান কি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ড্র করার জন্য ব্যাটিং করছেন, না কি ব্যাটিং করছেন পাকিস্তানের বিপক্ষে?
শেষ ৫ ওভারে যখন রিজওয়ানের বোধোদয় ঘটে, তখন জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিলো ৭৩ রান। অর্থাৎ ওভারপ্রতি রান প্রয়োজন প্রায় ১৫। শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে রিজওয়ান ডেথ ওভারে ১৮ বলে করেছেন ৩৮ রান। অর্থাৎ তখনও আস্কিং রানরেটের সাথে পাল্লা দেওয়া হয়ে ওঠে নি রিজওয়ানের।
অবশ্য ম্যাচ হারার জন্য দক্ষিন আফ্রিকারও চেষ্টার কমতি ছিলো না। অতিরিক্ত সূত্রে রান দিয়েছে ২৩, ওভার থ্রো থেকে রান বিলিয়েছে দেদারসে। এমনকি হেলায় হারিয়েছে রিজওয়ানকে একাধিক রানআউট করার সুযোগও। কিন্তু তাদের প্রয়োজন ছিলো কেবলমাত্র একটি ভালো ওভারের। ১৮তম ওভারে জর্জ লিন্ডে সেই ওভার নিয়ে হাজির হন। কেবলমাত্র ৫ রান দিয়ে তুলে নেন ৩ উইকেট। ফলাফল পাকিস্তান ১১ রানে পরাজিত।
রিজওয়ানের ব্যাটিং যেমন স্কোরকার্ডের উপরে চাপ তৈরি করেছে, চাপ তৈরি করেছে অপরপ্রান্তের ব্যাটারের উপরেও। অতিরিক্ত চাপের কারণে অহেতুক শট খেলে আউট হতে হয়েছে সায়িম, তাদিরদের। রিজওয়ান যদি ব্যাটিংয়ের ধরন পরিবর্তন না করেন, পাকিস্তানের করুণ দশার পরিবর্তন ঘটার সম্ভাবনা বেশ কম।