ঠিক যেখানে শেষ করেছিলেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, সেখান থেকেই যেন আবার রোহিত শর্মা শুরু করলেন নিজের তাণ্ডব। ফরম্যাট বদলায়, প্রতিপক্ষ বদলায়, বদলে যায় পরিস্থিতি ও পরিবেশ। তবুও এত সব বদলের মাঝেও রোহিতের ব্যাটিংয়ের চিত্র বদলায় না এক বিন্দুও।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে স্বরুপেই রোহিত চালিয়েছেন ব্যাট। কলম্বোর উইকেটে ব্যাট চালাতে বেজায় ধুকেছে লংকান ব্যাটাররা। বহু প্রচেষ্টা পর তারা ভারতের দিকে ছুড়ে দিয়েছিল ২৩১ রানের মাঝারি পুঁজি। সেই মাঝারি পুজিকেও ভারতের জন্যে সহজ লক্ষ্যে পরিণত করে রোহিতের ব্যাট।
আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের মঞ্চায়ন করেন তিনি একেবারে শুরু থেকেই। আরেকপ্রান্তে শুভমান গিল অবশ্য ছিলেন অতিসাধরণ এক দর্শক। তরুণ এই ব্যাটার রোহিতকে সঙ্গ দিয়ে গেছেন স্রেফ। মাত্র ৩৩ বলে অর্ধশত রানের গণ্ডি পেরিয়ে যান রোহিত। তাতে করে তার নামের পাশে যুক্ত হয় ৫৬তম ওয়ানডে হাফসেঞ্চুরি।
তার মারকুটে ব্যাটিংয়ের কল্যাণে ১০ ওভার শেষে ৭১ রান যুক্ত হয় ভারতের স্কোরবোর্ডে। সেখান থেকে বাকিদের শুধু জয়ের দিকেই মনোযোগী হওয়ার কথা। যদিও অর্ধশতকের পর রোহিতের রান তোলার গতি খানিক কমেছিল। সচারচর রোহিত নিজের ব্যাটিং গিয়ার কমাতে দেখা যায় না। তবে তিনি হয়ত ভেবেছিলেন, এদিন ইনিংসটি বড় করতে।
কেননা তিনি একপ্রান্তে দ্রুততার সাথে ব্যাট করে গেলেও শুভমান তাল মেলাতে পারেননি। তার জন্যে অবশ্য কলম্বোর উইকেটকে খানিক দায়ী করা যায়। দলীয় ৭৫ রানের মাথায় গিলের বিদায়ের পর একটু ধীরে ব্যাট চালানোর সিদ্ধান্ত নেন রোহিত। ততক্ষণে অবশ্য পাওয়ার-প্লেও শেষ হয়ে গেছে। বৈরি উইকেটে অতিরিক্ত আগ্রাসী হতে গিয়ে দলের উপর চাপ বাড়াতে চাননি রোহিত।
ঠিক সে কারণেই হয়ত একটু খোলসবন্দী হয়েছিলেন তিনি। অবশ্য সে প্রক্রিয়া তার জন্যে ব্যাকফায়ার করেছে দারুণভাবে। যদিও স্লগ করতে গিয়ে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন তিনি। ৫৮ রানে বিদায় ঘটে তার। অর্ধশতকের পর আরও ১৩টি বল খরচা করেন তিনি। রান নেন কেবল ৮টি।
খানিক ধীর হয়ে না গেলে নিশ্চিতরুপেই ব্যক্তিগত ও দলগত রানটা বাড়িয়ে নিতে পারতেন রোহিত। তবে যেটুকুও করেছেন ওয়ানডে ফরম্যাট বিবেচনায় তা মোটেও ফেলনা নয়। বরং অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। ধারণা করাই যায় ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতার জন্যে রোহিত নিজেকে এখন থেকেই প্রস্তুত করতে চাইছেন।