হার্দিক পান্ডিয়াকে অধিনায়ক করার পর থেকেই রোহিত শর্মার সঙ্গে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের সম্পর্কের শীতলতা নিয়ে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছিল সর্বত্র। সময়ের সাথে সাথে সেই গুঞ্জন কেবল বেড়েছে, এমনকি চলতি মৌসুম শেষে দল ছাড়বেন তিনি এমনটাও শোনা যাচ্ছে। অর্থাৎ লখনৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে ম্যাচটিই হয়তো মুম্বাইয়ের জার্সিতে তাঁর শেষ ম্যাচ।
আর সম্ভাব্য শেষ ম্যাচটা দারুণভাবে রাঙিয়ে রাখলেন তিনি, খেললেন দুর্দান্ত এক ইনিংস। চলতি আইপিএলে অবশ্য এই ওপেনার খুব একটা ধারাবাহিক ছিলেন না, একটা সেঞ্চুরি করলেও সবমিলিয়ে তাঁর মোট সংগ্রহ এতদিন চারশর কম ছিল।
তবে লখনৌর বিপক্ষে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পেরেছেন এই ব্যাটার। এদিন ৩৮ বলে ৬৮ রানের ঝকঝকে এক ইনিংস খেলেছেন তিনি। দশ চারের সাথে তিন ছয়ের মারে সাজানো ইনিংসটি মুম্বাইকে লড়াইয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিল।
ওপেনিংয়ের নিয়মিত সঙ্গী ঈশান কিষাণকে বাদ দিয়েই ওপেনিংয়ে এসেছিলেন রোহিত। এই পরিবর্তন বদলে দিয়েছিল তাঁকেও, প্রথম থেকেই আগ্রাসনের পথ বেছে নিয়েছিলেন তিনি। একপ্রান্তে ব্রেভিস যখন রয়েসয়ে খেলছিলেন, তাঁর ব্যাটে তখন ঝড় উঠেছিল। পাওয়ার প্লে শেষে এই ডানহাতির নামের পাশে ছিল ২৩ বলে ৩৯ রান আর প্রোটিয়া তরুণ করেছিলেন কেবল ১৩ বলে ১০।
যাহোক, সপ্তম ওভারে ১৪ রান আদায়ের মধ্য দিয়ে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন ভারত জাতীয় দলের কাপ্তান। যদিও আস্কিং রান রেটের উর্ধ্বগতি আর দ্রুত দুই উইকেটের পতনের ফলে চাপে পড়ে যান তিনি, সেই চাপ থেকে বেরুতে গিয়ে উল্টো উইকেট দিয়ে বসেন।
অগুণিত ভক্ত তো বটেই নিরপেক্ষ ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্যও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স মানেই রোহিত শর্মা, তাই তো এ ম্যাচকে তাঁর সম্ভাব্য বিদায় ভেবে নিশ্চয়ই মন খারাপ হয়ে যাবে তাঁদের। তবে কথায় আছে, সব ভাল কিছুরই একটা শেষ থাকে। প্রকৃতির নিয়ম মেনেই তাই প্রার্থনা করতে হয় – ভবিষ্যতে তিনি যেখানেই যান সেখানে যেন ভাল থাকেন, ভাল পারফরম করেন।