রোহিতের তাণ্ডব চলমান!

৬২ বলে সেঞ্চুরি, শেষমেষ থামলেন ৯৪ বলে ১৫৫ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলে। আট বছর পর ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরলেন রোহিত শর্মা, আর ফিরেই মাঠটাকে বানিয়ে দিলেন উৎসবের মঞ্চ।

৬২ বলে সেঞ্চুরি, শেষমেষ থামলেন ৯৪ বলে ১৫৫ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলে। আট বছর পর ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরলেন রোহিত শর্মা, আর ফিরেই মাঠটাকে বানিয়ে দিলেন উৎসবের মঞ্চ। জাতীয় দলে টিকে থাকার চাবিকাঠি ঘরোয়া ক্রিকেটে রোহিত নিজেকে প্রমাণ করলেন আরও একবার, সেই সঙ্গে বুঝিয়ে দিলেন, এই রোহিতরা কখনো ফুরিয়ে যায় না, এই রোহিতরা সহজে বুড়িয়ে যায় না। জানান দিলেন, ক্লাস কখনো মুছে যায় না।

বিজয় হাজারে ট্রফিতে মুম্বাইয়ের হয়ে সিকিমের বিপক্ষে ম্যাচ। রোহিতের প্রত্যাবর্তন ঘিরে জয়পুরে তৈরি হয়েছিল নজিরবিহীন উন্মাদনা। যেখানে ম্যাচটির জন্য আনুমানিক ৭ হাজার দর্শক আসার কথা ছিল, সেখানে মাঠে হাজির হন কমপক্ষে ১০ হাজার মানুষ। স্টেডিয়ামের ভেতর তো বটেই, বাইরে পর্যন্ত উপচে পড়ে সমর্থকদের ভিড়। শুধুই এক ক্রিকেটারকে দেখার জন্য, রোহিত শর্মা।

ভক্তদের ভালোবাসা আর বিশ্বাসের প্রতিদানটাই যেন দিলেন রোহিত। শতক হাঁকিয়ে ব্যাট উঁচিয়ে জয়পুরের উন্মাদনায় বাড়িয়ে দিলেন। ইনিংসজুড়ে ছিল সেই সাবলীলতা, আত্মবিশ্বাস আর নিখুঁত টাইমিং। ১৮টি চার ও ৯টি ছক্কায় সাজানো রোহিতের ইনিংস যেন পরিশ্রম ছাড়াই এসেছে।

আট বছর পর ভারতের বাইরে প্রথম কোনো লিস্ট-এ ম্যাচ খেলতে নেমে বিন্দুমাত্র নার্ভাসনেস দেখা যায়নি ভারতের সাবেক অধিনায়কের ব্যাটে। বরং প্রতিটি শটে ফুটে উঠেছে অভিজ্ঞতা আর পরিণত মানসিকতা।

অনেকটা বাধ্য হয়েই ঘরোয়ার ব্যাট তুলে নিতে হয়েছে রোহিতদের। বোর্ডের সঙ্গে চলা শীতল-যুদ্ধে জবাবটা তাই রোহিত দিলেন ব্যাট হাতে, সমালোচকদের একেকটা কথা যেন বিশাল সব ছক্কায় পাঠালেন মাঠের বাইরে। শেষের শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে যেন সবখানেই শুরু করেছেন নতুন করে।

লেখক পরিচিতি

প্রত্যয় হক কাব্য

স্বপ্ন লেখার কি-বোর্ড

Share via
Copy link