আল নাসের তখন পয়েন্ট হারানোর দ্বারপ্রান্তে, তবু অন্য অনেকবারের মত শেষ চেষ্টা করতে চাইলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ডানদিক দিয়ে বল নিয়ে ঢুকে পড়েন ডি বক্সে, তাঁকে আটকাতে বাধ্য হয়ে স্লাইডিং ট্যাকেল করে বসেন ডিফেন্ডার রবার্ট রেনান। ফলাফল, পেনাল্টি!
পূর্ণ তিন পয়েন্টের হাতছানি আর শেষ বাশি বাজার ঠিক আগ মুহূর্ত – সব চাপ এক নিঃশ্বাসে মাঠের বাইরে ছুঁড়ে ফেললেন পর্তুগিজ যুবরাজ। ঠাণ্ডা মাথায় গোলরক্ষককে অন্য প্রান্তে পাঠিয়ে দলকে এনে দেন জয়সূচক গোল।
স্পট কিক থেকেই তো গোল করেছে, এ আর এমন কি? এই ভাবনা যদি আপনার মনে আসে তাহলে মিনিট দু’য়েক সামনে এগিয়ে যান। ভাগ্য গুণে তাৎক্ষণিকভাবেই পেনাল্টি পেয়েছিল আল শাবাব, অর্থাৎ এক পয়েন্ট পাওয়ার দারুণ একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। অথচ দলটার অধিনায়ক আবদুর রাজ্জাক হামাদাল্লাহ স্নায়ু চাপে হেরে গেলেন, শট নিলেন গোলবারে।
রোনালদো এখানেই আসলে অনন্য; তিনি জানেন তাঁকে কি করতে হবে, কিভাবে করতে হবে। তাঁর ইস্পাত সম স্নায়ুর সুবাদেই এদিন পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছেড়েছে আল নাসের। এর মধ্য দিয়ে ক্যারিয়ারে ৯০৭ তম গোলের দেখা পেলেন তিনি, সেই সাথে চলতি সৌদি প্রো লিগে ছয় গোল করে উঠে এসেছেন সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় তিন নম্বরে।
আল নাসের বনাম আল শাবাবের ম্যাচে অবশ্য নাটকীয়তা চরমে পৌঁছেছিল। ৮৪ মিনিটের সময় গোল করেছিলেন সাদিও মানে, কিন্তু অফসাইডের কারণে তাঁর গোল বাতিল করা হয়। এর কয়েক মিনিট পরেই সদ্য বদলি হিসেবে নামা আলী আল হাসান আত্মঘাতী গোল করে বসেন – ম্যাচে ফেরে সমতা।
এরপর আবার যোগ করা সময়ে দু’দলই পেয়েছিল একটি করে পেনাল্টি, লাল কার্ডও দেখাতে হয়েছে রেফারিকে। তবে সবকিছু শেষে স্বস্তির হাসি হেসেছেন সিআরসেভেন এবং তাঁর দল।