তাঁর একাদশে জায়গা নেই বিশ্বকাপে। মাঠে খেললেও তেমন একটা ফর্ম নেই। আবার তাঁর কোনো ক্লাবও নেই।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে চুক্তি ভঙ্গ করায় বিশ্বকাপ শুরুর ঠিক আগে ক্লাবশূন্য হয়ে যান রোনালদো। এই মুহূর্তে কোনো ক্লাবের সাথেই নেই তিনি।
মৌসুম জুড়ে নানা নাটকীয়তায় রেড ডেভিললদের ছেড়ে যাওয়ার পর রোনালদোর যোগ দেয়ার মতো অনেক ক্লাব পর্তুগালেই ছিল। কিন্ত বছরে ২০০ মিলিয়ন ইউরোতে যোগ দেয়ার প্রস্তাব তাকে দেয়া হয় সৌদি ক্লাবের পক্ষ থেকে। কোনো কোনে গণমাধ্যম চূড়ান্ত করেই বলে দিয়েছিল সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসরে যাচ্ছেন তিনি। এমনকি ক্লাবের জার্সি পরিহিত রোনালদোর ছবিও প্রকাশিত হয়।
তবে শেষ পর্যন্ত নীরবতা ভেঙেছেন ৩৭ বছর বয়সি রোনালদো। বলেছেন বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টগুলো সঠিক নয়। মানে আপাতত সৌদিতে যাচ্ছেন না তিনি। কারণ, তিনি থাকতে চান ইউরোপেই। এমন কোনো ক্লাবে খেলতে চান – যারা কি না খেলে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে রোনালদোর সম্প্রতিক সময়গুলো খুব একটা ভালো যাচ্ছিল না। শুধু যে কোচ টেন হ্যাগের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়েছেন তা নয়, পাঁচ বারের ব্যালন ডি অঁরের সঙ্গে ক্লাবের অন্য কর্মকর্তাদেরও বিরোধ চলছিল। রোনালদোর অভিযোগ তাকে ক্লাব থেকে বের করার চেষ্টা করা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত ইউনাইটেডের সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয় সিআর সেভেনের।
এর আগে তিনি সাংবাদিক পিয়ার্স মরগ্যানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কোচ হ্যাগ ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের নামে মানহানিকর অনেক কথাই বলেন। এরপর থেকেই তাঁর এজেন্ট হন্যে হয়ে নতুন ক্লাবের সন্ধান করছেন।