বুটে মরচে পড়লেও কমেনি গোল ক্ষুধা

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের একচ্ছত্র অধিপতি ক্রিশ্চিয়ানো, এবার এশিয়ান মঞ্চের দিকে চোখ তাঁর। অবশ্য আল নাসেরকে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্ব পাইয়ে দিতে হলো সাত সাগর আর তেরো নদী পেরুতে হবে। তবু তিনি প্রস্তুত অদম্য মানসিকতা সঙ্গী করে, এখন কেবল দেখার অপেক্ষা।

বুটজোড়ায় মরচে ধরে গিয়েছে, চামড়া আগের মত টান টান নেই, কানের পাশে চুলগুলোও বোধহয় সাদা হতে শুরু করেছে – চিরচেনা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো এভাবেই বয়সের ভারে ধীরে ধীরে অচেনা হয়ে যাচ্ছেন। তবে এত এত পরিবর্তনের মাঝেও পরিবর্তন হয়নি তাঁর গোল ক্ষুধার। এখনো তিনি ম্যাচের পর ম্যাচ নিরলস গোল করে যাচ্ছেন।

সবশেষ আল রাইইয়ানের বিপক্ষে জালের দেখা পেয়েছেন এই স্ট্রাইকার। আবদুল রহমান গারীবের পাস থেকে উইক ফুটেই নিয়েছিলেন শট, তবু কি অনায়াসে সেটা গোলরক্ষককে পরাস্ত করে পৌঁছে গেলো প্রত্যাশিত ঠিকানায়।

এই নিয়ে আল নাসেরের হয়ে টানা তিন ম্যাচে গোল করলেন পর্তুগিজ যুবরাজ। প্রায় চল্লিশ ছোঁয়া বয়সেও তিনি ছুটছেন ইনফর্ম কোন তরুণের মতই! পরিসংখ্যানই তাঁকে আলাদা করে তুলেছে, বাম পায়ে এখন পর্যন্ত ১৭৪টি গোল করেছেন তিনি। যা কি না বাম পায়ে সর্বোচ্চ গোলের তালিকায় তৃতীয় অথচ এটা তাঁর উইক ফুট!

ইউরোপীয় ফুটবলের সঙ্গে সৌদি প্রো লিগ কিংবা এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের তুলনা চলে না, তবু রোনালদোর কারণে সেটাও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। ২০২৩ সালের পর থেকে সকল ধরনের ফুটবলে সর্বোচ্চ গোলদাতাদের একজন তিনি; আর্লিং হাল্যান্ড, কিলিয়ান এমবাপ্পের সঙ্গে যেভাবে পাল্লা দিয়ে ছুটছেন সেটা অবিশ্বাস্য।

অধিনায়কের দুর্দান্ত দিনে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জয়ের স্বাদ পেয়েছে নাসের। রাইইয়ানকে ২-১ গোলে হারিয়ে টেবিলের তিন নম্বরে উঠে এসেছে তাঁরা, অথচ আগের ম্যাচেই তাঁকে ছাড়া খেলতে নেমে পয়েন্ট খুইয়ে এসেছিল দলটি।

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের একচ্ছত্র অধিপতি ক্রিশ্চিয়ানো, এবার এশিয়ান মঞ্চের দিকে চোখ তাঁর। অবশ্য আল নাসেরকে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্ব পাইয়ে দিতে হলো সাত সাগর আর তেরো নদী পেরুতে হবে। তবু তিনি প্রস্তুত অদম্য মানসিকতা সঙ্গী করে, এখন কেবল দেখার অপেক্ষা।

Share via
Copy link