‘বছরে চারটা পাঁচটা টুর্নামেন্ট খেলেছি। এর মধ্যে একটা খারাপ কেটেছে বাকি চারটা টুর্নামেন্ট ভালই কেটেছে।’ নিজের পারফরমেন্সে বড্ড বেশি সন্তুষ্ট আবু হায়দার রনি। এনসিএল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় যে তিনি।
প্রায় ১৩ দিনের লড়াই শেষে পর্দা উঠেছে এনসিএল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের। লো স্কোরিং ফাইনালে পরাজিত হয়েছে রনির ঢাকা মেট্রো। কিন্তু ব্যক্তিগত অর্জনে রনি ছিলেন উজ্জ্বল। এমনকি ফাইনালের দিনও দুর্দান্ত বোলিং করেছেন তিনি। চার ওভারে আট রান দিয়েছেন তিনি। বিনিময়ে একটি উইকেট নিয়েছেন আবু হায়দার রনি।
মাত্র ৬২ রানের পুঁজি ডিফেন্ড করা প্রায় অসম্ভব। রনিরা চেষ্টা করেছেন অসম্ভবকে সম্ভব করতে। কিন্তু শেষ অবধি রনির অলরাউন্ডিং পারফরমেন্সেও বদলায়নি পরিস্থিতি। শুধু যে বল হাতেই রনি চেষ্টা করেছেন ম্যাচ জেতার, তা কিন্তু নয়। ব্যাট হাতেও দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৩ রান করেছেন তিনি।
পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই ব্যাটে-বলে রনি ছিলেন অনবদ্য। তার মূল কাজ ছিল বল হাতে। সেই দায়িত্ব পালন তিনি করেছেন যথাযথভাবেই। ১৩টি উইকেট বাগিয়েছেন আবু হায়দার রনি। এছাড়া তার ব্যাট থেকেও রান এসেছে, যা দলকে বহু ম্যাচে সহয়তা করেছে। ১২৩ রান করেছেন বাঁ-হাতি এই পেসার। দারুণ পারফরমেন্সের পুরষ্কার উঠেছে তার হাতে।
তাছাড়া রনি নিজে বেশ ভাল করেই জানেন, জাতীয় দলের ফেরার রাস্তাটা মোটেও সহজ নয়। দেশের পেস ইউনিট রয়েছে অসাধারণ ফর্মে। এই ইউনিটে শুধুমাত্র বোলিং দিয়ে জায়গা করা কঠিন। তাইতো নিজের ব্যাটিংয়েও মনোযোগ দিয়েছেন আবু হায়দার রনি।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় জাতীয় দলে কামব্যাক করতে হলে আমার বোলিংয়ের পাশাপাশি আমার ব্যাটিংটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই ব্যাটিং নিয়েও কাজ করছি। যদি দু’টাতে ক্লিক করতে পারি তাহলে হয়ত সুযোগ আসবে।’
সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছে রনি। আর সেই সুযোগের সেতু হয়ে এসেছে এনসিএল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের রাস্তা ধরে তিনি নিশ্চয়ই খুঁজে নিতে চাইবেন জাতীয় দলের দুয়ার।