মহেন্দ্র সিং ধোনি সরে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু করেছিলেন অনেক আগেই, সেই লক্ষ্যে রবীন্দ্র জাদেজাকে অধিনায়কত্ব দিয়েছিলেন দুই মৌসুম আগে। তবে জাদেজা সেই দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। বছর দুয়েক পরে, একই লক্ষ্য নিয়ে নেতৃত্বের আসনে বসানো হলো রুতুরাজ গায়কোয়াড়কে। জাদেজার মত ভুল করেননি তিনি; একেবারে সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে আরো একবার দেখা গেলো তাঁর দায়িত্বশীলতা। ১৩৮ রানের মাঝারি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৫৭ বলে ৬৩ রান করেছেন এই ব্যাটার। তাঁর পারফরম্যান্সে ভর করেই কলকাতাকে ঘরের মাঠে সাত উইকেটে হারিয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস। এর মধ্য দিয়ে টানা দুই পরাজয়ের পর জয়ের ধারায় ফিরলো দলটি।
এদিন ওপেনিংয়ে নেমে শেষপর্যন্ত অপরাজিত অপরাজিত ছিলেন এই ডানহাতি। ওপেনার রাচিন রবীন্দ্র ১৫ রান করে ফেরার পর দলের হাল ধরেছিলেন তিনি। ড্যারেল মিশেলকে সঙ্গে নিয়ে গড়েছেন ৭০ রানের জুটি। তাতেই জয়ের সহজ সমীকরণ আরো সহজ হয়ে যায় স্বাগতিকদের জন্য; ততক্ষণে অবশ্য তাঁর ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল।
এরপর শিভাম দুবেকে সঙ্গী করে স্কোরবোর্ডে আরো ৩৮ রান যোগ করেন এই ওপেনার। শেষদিকে ধোনির সাথে মিলে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন তরি।
এর আগের ম্যাচগুলোতে অবশ্য ব্যাট হাতে পারফরম করতে পারেননি এই ওপেনার। একাধিক ম্যাচে সেট হয়েও উইকেট দিয়ে এসেছিলেন; আর গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে ৪৬ রান করলেও যথাযথ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করতে পারেননি। এতকিছুর মাঝেও অধিনায়কত্ব করার ক্ষেত্রে কোন সমস্যায় পড়তে হয়নি তাঁকে, একেবারে ঠান্ডা মাথায় সামলেছেন সবকিছু।
বলা যায়, ক্যাপ্টেন কুলের দেখানো পথেই এগিয়ে যাচ্ছেন রুতুরাজ। বোলিং রোটেশন, ফিল্ড সেটআপ সবকিছুতেই তীক্ষ্ণতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। হ্যাঁ, ধোনির প্রভাব তো রয়েছে তবে তাঁর কৃতিত্ব তাতে একটুও কমার সুযোগ নেই।
আইপিএলের অন্যতম সফল অধিনায়কের জুতো পা গলানোর পর পাহাড়সম চাপ ছিল এই তারকার ওপর। এখন পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচ খেলে তিনটিতেই জিতেছেন তিনি, চাপটা তাই কমে গিয়েছে কয়েক গুণ। এখন শুধু সামনে এগিয়ে যাওয়ার পালা, মাহি ভাই তো পাশে রয়েছেই।