‘অভিযোগ ছাড়াই’ পদত্যাগ করেছেন সাব্বির

বাংলাদেশের প্রথম অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের বাছাই পর্ব পার করা দলের অধিনায়ক ছিলেন তিনি।

জাতীয় দলের ক্যারিয়ার দীর্ঘ না হলেও ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেছেন লম্বা সময়। প্রায় দুই যুগ হলো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের গুরুত্বপূর্ন পদ সামলাচ্ছেন। কিন্তু কখনোই কোনো কারণে সংবাদ শিরোনাম হননি সাব্বির খান।

এবার বাজে একটা অভিযোগে সংবাদে এলেন সাব্বির। বলা হচ্ছে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় বিশৃঙ্খল আচরণ করেছেন জাতীয় দলের এই অপারেশন্স ম্যানেজার। তার বিপক্ষে একজন সিনিয়র ক্রিকেটার লিখিত অভিযোগ বিসিবির কাছে নাকি দিয়েছেন। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স ম্যানেজার পদ থেকে তাকে নাকি পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে।

সদাহাসিমুখের সাব্বির এই অভিযোগে বিধ্বস্থ। তিনি পরিষ্কার দাবি করলেন, এমন কোনো ঘটনার সুযোগই নেই। কারণ, তিনি দলের সাথে বিশ্বকাপে যাওয়ার আগেই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই মাসেই ব্যক্তিগত কারণে অপারেশন্স ম্যানেজার পদ থেকে সরে দাড়িয়েছেন। এখন তিনি ৩০ দিনের নোটিশ পিরিয়ড পার করছেন।

সাব্বির বলছিলেন, একেবারেই শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তির কারণে তিনি বোর্ডের এই বড় পদ থেকে সরে দাড়িয়েছেন, ‘আমি সেই ১৯৯৯ সাল থেকে টানা কাজ করছি। এই পদে মারাত্মক মানসিক চাপ নিতে হয়। শারীরিক পরিশ্রম খুব কম। ফলে আমার অনেক অসুস্থতাও তৈরি হয়েছে। এসব বিবেচনায় আমি গত মাসে সিইওকে (প্রধাণ নির্বাহী) এবং অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খানকে জানাই যে, আমি কাজ চালিয়ে যেতে পারছি না। আকরাম ভাই আমাকে তিন মাস ছুটি নিতে বলেছিলেন। কিন্তু আমি সেটা না করে পদত্যাগ করেছি। আমাকে কেউ পদত্যাগ করতে বলেনি। বা আমি কোনো অভিযোগ সম্পর্কে কিছু শুনিনি।’

বিসিবির উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তাও জানালেন, সাব্বিরের নামে এমন খবর রটায় তিনি বিস্মিত, ‘সাব্বিরকে তো এতো বছর ধরে দেখছি, ও নাইস ও অনেস্ট একটা ছেলে। ও ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগ করেছে শুনেছি। কিন্তু ওর নামে কেউ অভিযোগ করেছে, এমন জানি না।’

সাব্বির বলছিলেন, তিনি তার জীবনে শৃঙ্খলার সাথে কখনো আপোষ করেননি। ফলে তাকে নিয়ে ওঠা এই ধরণের খবরে তিনি যারপরনাই হতবাক হয়েছেন। তিনি বলছিলেন, ‘আমি আমার খেলোয়াড়ী জীবন থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত কখনো শৃঙ্খলার সাথে আপোষ করিনি। সুযোগ থাকা স্বত্তেও কোথাও নিজেকে সামনে আনিনি। কখনো সংবাদে আসিনি। এমনকি ফেসবুকটাও এক বছর হলো ব্যবহার করি না। আমি এখানে কাজ করেছি স্রেফ ক্রিকেটকে ভালোবাসার কারণে। আর কোনো কারণ ছিলো না।’

সাব্বির অবশ্য এখনও ঠিক করেননি যে, ভবিষ্যতে কী করবেন। আপাতত তিনি বিশ্রাম নিতে চান বলেই বললেন, ‘আমাকে সিইও রিজাইন লেটার পেয়ে এটাই জিজ্ঞেস করেছিলেন। তিনি এই সিদ্ধান্তে খুবই অবাক হয়েছেন। জানতে চেয়েছেন, কি করবো। আমি বলেছি, দুই বছর বিশ্রাম নিতে চাই। ছয় মাস পর ভালো লাগলেও অন্য কিছু করতে পারি। তবে আপাতত কাজ নিয়ে ভাবছি না।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link