নিজেকে একেবারে নিঙড়ে দিয়েছেন সাই সুদর্শন। কিন্তু তবুও হতাশা সঙ্গী করে বিদায় নিতে হল তাকে। তিনি চেষ্টা চালালেও গুজরাটের ভাগ্য বদল হয়নি। কিন্তু পুরোদস্তুর এক পারফরমার হয়ে তিনি আবির্ভূত হয়েছেন ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ১৮ তম আসরে। সেরা রান সংগ্রাহক হওয়ার দৌড়ে লড়াই করেছেন তাবড় তাবড় সব ব্যাটারদের সাথে।
তরুণ ব্যাটার সাই সুদর্শন, নিজের ক্যারিয়ারের সেরা আইপিএল মৌসুমের অভিজ্ঞতাই যেন পেয়ে গেলেন। আগ্রাসনের ধারাবাহিকতায় তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন সময়ের অন্যতম সেরা প্রতিভা হিসেবে। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে সেই আগ্রাসনের পুনরাবৃত্তিই ঘটালেন তিনি আরও একটিবার।
প্রথম এলিমিনেটরে মুম্বাই স্কোরবোর্ডে জমা করেছিল ২২৮ রান। বিশাল এক লক্ষ্য তাড়া করতে হলে গুজরাটকে শুরু থেকেই পালটা আক্রমণ করতে হতো। সেই দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন সাই সুদর্শন। একটা প্রান্ত আগলে রেখে গুজরাটের বাকি থাকা আশার বাতি জ্বালিয়ে রেখেছিলেন সুদর্শন।
কিন্তু তার বিদায়ের পর মুহূর্ত থেকেই বদলে যেতে শুরু করে সকল সমীকরণ। ৪৯ বলে ৮০ রানের ইনিংসটিতে দশটি চার ও একটি ছক্কা হাঁকিয়েছেন সুদর্শন। কোন অহেতুক শট খেলেননি। বরং ব্যাকরণ মেনে ব্যাটিং করে গেছেন। কিন্তু আগ্রাসন ছিল আষ্টেপৃষ্টে।
কিন্তু প্রায় ১৬৩ স্ট্রাইকরেটের ইনিংসটির সমাপ্তির সাথে সাথে গুজরাটের জন্যেও লেখা হয়ে যায় সমাপ্তির অধ্যায়। শেষ দিকে শেরফেন রাদারফোর্ড, রাহুল তেওয়াতিয়ারা বহু চেষ্টা চালিয়েও ম্যাচটি নিজেদের পক্ষে নিয়ে আসতে পারেনি। ২০ রানের পরাজয়ে গুজরাটের ১৮ তম আইপিএলের পরিসমাপ্তি ঘটেছে।
তবে বিষাদের এই মেঘ ছাপিয়ে, জ্বলজ্বল করছে সাই সুদর্শনের ব্যাটের উজ্জ্বলতা। ধারাবাহিক পারফরমেন্সের পুরষ্কার হিসেবে ভারতের টেস্ট দলেও জায়গা এসেছে তার। এখন স্রেফ উড়ে বেড়ানোর পালা, শুভ্র কিংবা রঙিন পেখম মেলে।