ভিভ রিচার্ডস, খুনে ব্যাটিংয়ের শেষ কথা

ক্রিকেটে একমাত্র ভিভ রিচার্ডসকেই ‘কিং’ উপাধি দেয়া হয়। ক্রিকেট মাঠে তার রাজকীয় পদচারণা দেখলেই বোঝা যায় নামকরণটা যথার্থই। ভিভ রিচার্ডসের ড্রেসিংরুম থেকে মাঠে প্রবেশের পুরো দৃশ্যটাই একটা শিল্পকর্ম। পৃথিবী বিখ্যাত কোরিওগ্রাফার দিয়ে আরো সাউন্ড, লাইট কিংবা ইফেক্ট যোগ করেও সেটা আর ভালো করা সম্ভব নয়।

অনেকের কাছেই ক্রিকেটের আসল ‘মাস্টার ব্লাস্টার’ একজনই; স্যার ভিভ রিচার্ডস। ক্রিকেট ইতিহাসের সবচাইতে আগ্রাসী এবং খুনে মেজাজের ব্যাটসম্যান হিসেবে যাঁকে একবাক্যে মেনে নেন সবাই। যিনি ব্যাট করতেন হেলমেট ছাড়া; ফাস্ট বোলারদের স্বর্ণযুগে যিনি ছিলেন ফাস্ট বোলারদের যম। প্রতিপক্ষের শিরদাঁড়ায় ভয়ের শীতল স্রোত বইয়ে দিতে মাঠে যাঁর উপস্থিতিই ছিল যথেষ্ট।

ভিভ রিচার্ডসের ছিল অসামান্য রিফ্লেক্স, প্রচণ্ড কবজির জোর আর দুর্দান্ত হ্যান্ড আই কো-অর্ডিনেশন। অফ স্টাম্পের বাইরের একটা গুড লেন্থ বলকে অনায়াসে মিডউইকেট অঞ্চল দিয়ে সীমানাছাড়া করতে পারতেন। কম্পালসিভ পুলার এবং হুকার ছিলেন। বিশেষ করে হুক শটে তাঁকে সর্বকালের সেরাদের একজন মনে করা হয়। হরাইজন্টাল ব্যাটে ‘অ্যাক্রস দ্য লাইন’ শট খেলতে পছন্দ করতেন বলে নিজের আত্মজীবনীর নাম দিয়েছিলেন ‘হিটিং অ্যাক্রস দ্য লাইন’!

তা ব্যাটসম্যান হিসেবে ঠিক কতটা আক্রমণাত্মক ছিলেন ভিভ? প্রয়াত ধারাভাষ্যকার রিচি বেনোর ভাষায়, ‘অনেকেই অনেক জোরে বল পিটিয়েছে। কিন্তু আর কেউ ভিভের মত প্রতিপক্ষ এবং দর্শকের মনে এমন ভয়ের বার্তা ছড়িয়ে দিতে পারেনি।’

ভিভের ক্যারিয়ার পরিসংখ্যান দেখলে অবশ্য এ সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পাওয়া যায়। ১২১ টেস্টে ৫০.২৩ গড়ে ৮৫৪০ রান কিংবা ১৪৭ ওয়ানডেতে ৪৭ গড়ে ৬৭২১ রান ভিভের শ্রেষ্ঠত্ব বোঝানোর জন্য ‘যথেষ্ট’ হলেও ভিভের আসল মাহাত্ম্য লুকিয়ে আছে তাঁর অবিশ্বাস্য স্কোরিং রেটে। সত্তর-আশির দশকের ভয়ঙ্কর সব ফাস্ট বোলার, ঘাসে ভরা বাউন্সি উইকেট আর হেলমেটবিহীন যুগে খেলেও টেস্টে ৮৬ আর ওয়ানডেতে ৯০ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন যা এককথায় অতুলনীয়!

সত্তর-আশির দশকের বোলারদের কাছে ভিভ রিচার্ডস ছিল এক বিভীষিকার নাম। ইংল্যান্ডের সাবেক ফাস্ট বোলার বব উইলিস একবার মজা করে বলেছিলেন, ‘ভিভ আমার ভালো বলগুলোতে মারত চার, আর বাজে বলগুলোতে ছয়।’

 

ওয়াসিম আকরামের ভাষায়, ‘মার্টিন ক্রো, গাভাস্কারদের বিপক্ষে বল করা কঠিন ছিল, কিন্তু ভিভকে বল করতে গেলে রীতিমতো গলা শুকিয়ে আসত আমার।’

ইমরান খানের মতে, ‘জেনুইন ফাস্ট বোলিংয়ের বিপক্ষে আমার দেখা সেরা ব্যাটসম্যান ভিভ রিচার্ডস।’

সত্তর-আশির দশকে ক্রিকেট মাঠের সবচাইতে আকর্ষণীয় দ্বৈরথগুলোর একটি ছিল ভিভ রিচার্ডস বনাম ডেনিস লিলি। সে যুগে লিলির মত দুর্ধর্ষ ফাস্ট বোলারের চোখরাঙানি উপেক্ষা করার সাহস খুব কম ব্যাটসম্যানই দেখাতে পেরেছেন। ভিভ ছিলেন তাঁদেরই একজন। লিলিকে মোটেই ভয় পেতেন না তিনি।

শুধু বোলারদের কথাই বা বলছি কেন, প্রতিপক্ষের ফিল্ডাররা পর্যন্ত ভিভকে বিশেষ সমীহের চোখে দেখত। উইন্ডিজের সাবেক উইকেটরক্ষক জেফ্রি ডুজনের ভাষায়, ‘নতুন ব্যাটসম্যান ক্রিজে আসলে সাধারণত ফিল্ডাররা দুই ধাপ এগিয়ে আসে। কিন্তু ভিভের বেলায় দেখেছি তার ঠিক উল্টো। ভিভ নামলে ফিল্ডাররা বরং দুই ধাপ পিছিয়ে যেত।’

১৯৭৯ সালের ঘটনা, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভিভ করেছিলেন ১৩০ বলে ১৫৩, ভেন্যু ছিল মেলবোর্ন। অস্ট্রেলিয়া দলে তখন জেফ থমসন, ডেনিস লিলি, রডনি হগের মত দুর্দান্ত সব ফাস্ট বোলার। সেই ম্যাচের স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে মাইকেল হোল্ডিং বলেন, ‘হগের একটি বাউন্সার সরাসরি গিয়ে লাগল ভিভের চিবুকে। হগ বলছিল, ও কি মাঠ ছাড়বে না? ভিভ মাঠ ছাড়ে নি। সেবা-শুশ্রূষা নিয়ে পুনরায় সেটেল হতে কিছুক্ষণ সময় নিয়েছিল এই যা। হগ বলল, দাঁড়াও এবার ওকে বাইরে পাঠাচ্ছি। ফলাফল আরেকটি বাউন্সার। কিন্তু ভিভ এবার আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল। ব্যাকফুটে কনভেনশনাল হুক। স্কয়ার লেগের উপর দিয়ে চোখের পলকে বল মাঠের বাইরে। অ্যান্ড আই টেল ইউ মেলবোর্ন ইজ আ বিগ্র গ্রাউন্ড।’

ভিভকে বক্সার জো ফ্রেজিয়ারের সঙ্গে তুলনা করে প্রয়াত ধারাভাষ্যকার টনি কোজিয়ার বলছেন, ‘হি ওয়াজ ভেরি ওয়েল বিল্ট। সাচ আ ক্লিন স্ট্রাইকার অব দ্যা বল। বক্সারদের মতো ও যেন সারাক্ষণ বোলারদের বলতো, আই অ্যাম কামিং টু গেট ইউ।’

ক্রিকেটে একমাত্র ভিভ রিচার্ডসকেই ‘কিং’ উপাধি দেয়া হয়। ক্রিকেট মাঠে তার রাজকীয় পদচারণা দেখলেই বোঝা যায় নামকরণটা যথার্থই। ভিভ রিচার্ডসের ড্রেসিংরুম থেকে মাঠে প্রবেশের পুরো দৃশ্যটাই একটা শিল্পকর্ম। পৃথিবী বিখ্যাত কোরিওগ্রাফার দিয়ে আরো সাউন্ড, লাইট কিংবা ইফেক্ট যোগ করেও সেটা আর ভালো করা সম্ভব নয়।

উইজডেনের সাবেক সম্পাদক শিল্ড বেরি বলেছেন, ‘গর্ডন গ্রিনিজ কিংবা ডেসমন্ড হেইন্সের জন্য বরাদ্দ প্রশংসাপত্র দশর্কের করতালিতে অনূদিত হওয়ার বেশ কিছুক্ষণ পর নীরবে-নিভৃতে, ধীরে-সুস্থে, হেলে-দুলে আভিজাত্য আর ভাব-গাম্ভীর্যের সাথে তিনি মাঠে প্রবেশ করতেন, যেন কোন সম্রাট তাঁর রাজত্বে ফিরছে।’

ভিভ রিচার্ডসের ক্রিজে আসার পর থেকে গার্ড নেয়া পর্যন্ত দৃশ্যের বর্ণনা দিয়েছেন অ্যাশলি ম্যালেট, ‘ও গার্ড নিতো, মাঠের চারপাশে এমন ভাবে তাকাতো যেন প্রতিপক্ষ বলে কেউ নেই। কয়েকটা ধাপ এগিয়ে এসে ব্যাট দিয়ে পিচে একটু টোকা দেয়, ফিরে গিয়ে ব্যাট হাতে দাঁড়ায়। এটা ওর সময়, ওর জায়গা। সতর্ক হয়ে যাও।’

ভিভ রিচার্ডসই প্রথম ব্যাটসম্যান যিনি টেস্টে দেড়শ’র বেশি স্ট্রাইক রেটে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। ১৯৮৫ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জন্মভূমি অ্যান্টিগায় ক্যারিয়ারের ২০ তম সেঞ্চুরিটি তুলে নিতে খরচ করেন মাত্র ৫৬ বল! টেস্ট ক্রিকেটের দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড হিসেবে যেটি টিকে ছিল প্রায় ৩০ বছর।

টেস্টে সর্বাধিক ছক্কার (৮৪) রেকর্ডটিও একসময় ছিল ভিভ রিচার্ডসের দখলে। ২০০৪ সালে যেটি ভেঙেছিলেন সাবেক কিউই অলরাউন্ডার ক্রিস কেয়ার্নস। বর্তমানে সেটি ব্রেন্ডন ম্যাককালামের (১০৭) দখলে।

ব্যাট হাতে ভিভ যে কেবল বিধ্বংসীই ছিলেন তা নয়, তিনি ছিলেন অবিশ্বাস্য রকমের ধারাবাহিক। ১৯৭৬-১৯৮৮ সাল পর্যন্ত টেস্ট ক্রিকেটের একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে ৫৫ গড়ে রান করেছেন ভিভ! ২৩ টি সিরিজ খেলেছেন, যার ১৩টিতেই তাঁর গড় ছিল পঞ্চাশের বেশি! ব্যাটিং গড়ে ভিভ পেছনে ফেলে দিয়েছিলেন গ্রেগ চ্যাপেল (৫৪), সুনীল গাভাস্কার (৫১), অ্যালান বোর্ডার (৫২), জাভেদ মিয়াঁদাদের (৫৪) মত অলটাইম গ্রেটদেরও।

টেস্টে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পজিশনে ব্যাট করলেও ভিভ সবচাইতে সফল ছিলেন তিন নম্বরে। এই পজিশনে অন্তত ৫০ ইনিংস খেলা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ব্যাটিং গড়ের বিচারে ভিভের অবস্থান তৃতীয়। তিন নম্বর পজিশনে ভিভের (৬১.৫৪) চেয়ে এগিয়ে আছেন শুধুমাত্র স্যার ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যান (১০৩.৬৩) এবং ওয়ালি হ্যামন্ড (৭৪.৭৮)।

ভিভ রিচার্ডস যেসব দেশে গিয়ে টেস্ট খেলেছেন, সব জায়গাতেই তাঁর ব্যাটিং গড় অন্তত ৪০। টেস্ট ম্যাচের ইনিংসভেদেও তাঁর কন্সিস্টেন্সি ছিল একই রকম। প্রথম ইনিংস- ৫৪, দ্বিতীয় ইনিংস- ৪৯, তৃতীয় ইনিংস- ৫০, চতুর্থ ইনিংস- ৪৮।

১৯৭৬ সালে মাত্র ১১ টেস্ট খেলে ৯০ গড়ে ভিভ করেছিলেন ১৭১০ রান! এক পঞ্জিকাবর্ষে সর্বাধিক টেস্ট রানের রেকর্ড হিসেবে যা টিকে ছিল প্রায় ৩০ বছর! একই বছর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এক সিরিজে করেছিলেন ৮২৯ রান!

টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাস ঘাঁটলে হয়ত ভিভের চাইতেও ভাল ব্যাটসম্যান খুঁজে পাওয়া যাবে। যদিও তা সংখ্যায় অতি নগন্য। তবে ওয়ানডেতে যে ভিভই সর্বকালের সেরা এ নিয়ে দ্বিমত করার লোক বোধ হয় চাইলেও খুঁজে পাওয়া মুশকিল। ইয়ান বোথাম, ব্যারি রিচার্ডস, মার্টিন ক্রো, শেন ওয়ার্ন, ডেরেক প্রিঙ্গলদের মত বিশেষজ্ঞরাও সেরার প্রশ্নে রায় দিয়েছেন ভিভের পক্ষেই। আসলে ভিভ ছিলেন যুগের চাইতে বেশ কয়েক ধাপ এগিয়ে থাকা একজন খেলোয়াড়। চলুন জেনে নিই এ সম্পর্কে পরিসংখ্যান কী বলছে।

১৯৭৫-১৯৯১ সাল পর্যন্ত ওয়ানডেতে ১-৭ নম্বর পজিশনে ব্যাট করা সকল ব্যাটসম্যানের এভারেজ ছিল ২৯ আর স্ট্রাইক রেট ছিল ৬৫! সেখানে ভিভ রান করেছেন ৪৭.০ গড় আর ৯০.২০ স্ট্রাইক রেটে!

ভিভের ওয়ানডে সেঞ্চুরির সংখ্যা ১১টি; এবং তার সবকটিতেই জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ওয়ানডেতে প্রতি ১৫ ইনিংসে অন্তত একটি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন তিনি। ভাবছেন এ আর এমন কী! তবে জেনে রাখুন, ভিভের যুগে ১-৭ নম্বর পজিশনে ব্যাট করা ব্যাটসম্যানদের প্রতিটি সেঞ্চুরির জন্য খেলতে হয়েছে গড়ে প্রায় ৫৫ ইনিংস!

ভিভের সমসাময়িক প্রথম সারির কয়েকজন ব্যাটসম্যানের ওডিয়াই পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে দেখা যায়, তাঁদের বেশিরভাগের গড় ছিল চল্লিশ আর স্ট্রাইক রেট ছিল ষাটের ঘরে।

  • জহির আব্বাস: গড় ৪৭.৬২, স্ট্রাইক রেট ৮৪.৮০
  • গ্লেন টার্নার: গড় ৪৭.০, স্ট্রাইক রেট ৬৮.০৫
  • গর্ডন গ্রিনিজ: গড় ৪৫.০৩, স্ট্রাইক রেট ৬৪.৯২
  • ডিন জোন্স: গড় ৪৪.৬১, স্ট্রাইক রেট ৭২.৫৬
  • জাভেদ মিয়াঁদাদ: গড় ৪১.৭০, স্ট্রাইক রেট ৬৭.০১
  • ডেসমন্ড হেইন্স: গড় ৪১.৩৭, স্ট্রাইক রেট ৬৩.০৯
  • গ্রেগ চ্যাপেল: গড় ৪০.১৮, স্ট্রাইক রেট ৭৫.৭০
  • ক্লাইভ লয়েড: গড় ৩৯.৫৪, স্ট্রাইক রেট ৮১.২২
  • অ্যালান ল্যাম্ব: গড় ৩৯.৩১, স্ট্রাইক রেট ৭৫.৫৪
  • মার্টিন ক্রো: গড় ৩৮.৫৫, স্ট্রাইক রেট ৭২.৬৩

দেখা যাচ্ছে, ভিভ (৯০.২০) বাদে আশির ওপর স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন কেবল দুজন; জহির আব্বাস (৮৪.৮০) আর ক্লাইভ লয়েড (৮১.২২)। তবে এঁরা দুজনেই ভিভের তুলনায় ম্যাচ খেলেছেন অনেক কম। ভিভের ১৮৭ ওয়ানডের বিপরীতে লয়েড ৮৭ আর জহির খেলেছেন মাত্র ৬২ ম্যাচ।

ভিভ রিচার্ডস হলেন ওয়ানডে ইতিহাসের প্রথম ব্যাটসম্যান যিনি ৪৫ গড় এবং ৯০ স্ট্রাইক রেটের অনবদ্য ‘কম্বিনেশন’ বজায় রেখে পাঁচ সহস্রাধিক রান করার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। এই পাওয়ারপ্লে, শর্ট বাউন্ডারি, বিগ ব্যাট আর ফ্ল্যাট উইকেটের যুগে এসেও যে কৃতিত্বে ভাগ বসাতে পেরেছেন আর মাত্র দুজন; এবি ডি ভিলিয়ার্স আর বিরাট কোহলি!

ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বাধিক রেটিং পয়েন্ট (৯৩৫) পাওয়া ব্যাটসম্যানের নামটাও ভিভ রিচার্ডস। দ্বিতীয় স্থানে আছেন জহির আব্বাস (৯৩১)।

ভিভ রিচার্ডসকে মনে করা হয় ওয়ানডের সর্বকালের সেরা ম্যাচ উইনার। ১৮৭ ওয়ানডের ক্যারিয়ারে ম্যাচসেরা হয়েছেন ৩১ বার! অর্থাৎ প্রতি ৬.০৩ ম্যাচে অন্তত একবার ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ হয়েছেন তিনি। দ্বিতীয় স্থানে আছেন ওয়ানডেতে সর্বাধিক ম্যাচসেরার (৪৬৩ ম্যাচে ৬২ বার) পুরস্কার জেতা শচীন টেন্ডুলকার (৭.২৪)।

ভিভ রিচার্ডস ছিলেন বড় ম্যাচের খেলোয়াড়। ওয়ানডেতে তাঁর ক্যারিয়ার গড় যেখানে ৪৭, টুর্নামেন্টের ফাইনালে সেটা ৫৬! ক্যারিয়ারে মোট ১৭ টি ফাইনালে অংশ নিয়েছেন ভিভ। এক সেঞ্চুরি ও নয় ফিফটিসহ প্রায় ৫৬ গড়ে করেছেন ৮৩৬ রান।

ভিভের ব্যাটসম্যানশিপের দাপটে আড়ালে চলে যায় তাঁর অলরাউন্ডার সত্তা! আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৫০০০ রানের পাশাপাশি অফ স্পিন আর স্লো মিডিয়াম বোলিংয়ে ভিভের ঝুলিতে রয়েছে ১৫০টি উইকেট। টেস্টে ৩২টি আর ওয়ানডেতে ১১৮টি। ওয়ানডেতে দুইবার গড়েছেন ইনিংসে ৫ উইকেট লাভের কীর্তি।

ওয়ানডেতে একই ম্যাচে ‘সেঞ্চুরি’ এবং ৫ উইকেট নেয়া প্রথম ‘অলরাউন্ডার’ কে জানেন? ভিভ রিচার্ডস! ১৯৮৭ সালে ডানেডিনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১১৮ রান করার পাশাপাশি বল হাতে ৪১ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন ভিভ। ওয়ানডেতে ১০০০ রান এবং ৫০ উইকেটের ‘ডাবল’ অর্জনকারী প্রথম ক্রিকেটারও তিনি!

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...