শঙ্কার বুকে ডঙ্কা বাজিয়ে বিজয়ী সাইফউদ্দিন

দ্রুত বেশ কয়েকটি উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচটা ততক্ষণে জমিয়ে তুলেছে আইরিশ ব্যাটাররা। কিন্তু নিজেকে প্রমাণের মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ সাইফউদ্দিন ঠিকই জেতালেন ম্যাচ।

যখনই জেগেছিল শঙ্কা, তখনই দৃপ্ত পায়ে মাঠে প্রবেশ করলেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ফুসফুস ভর্তি আত্মবিশ্বাস নিয়ে তিনি বাইশ গজে হাজির হলেন। দ্রুত বেশ কয়েকটি উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচটা ততক্ষণে জমিয়ে তুলেছে আইরিশ ব্যাটাররা। কিন্তু নিজেকে প্রমাণের মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ সাইফউদ্দিন ঠিকই জেতালেন ম্যাচ।

এসেই প্রথম বলে চার হাঁকালেন সাইফউদ্দিন। বার্তা স্পষ্ট। তাকে সাত নম্বরের পরিকল্পনায় রেখেছে বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট। ১১ রানে তিন উইকেট হারানোর পর, আর ১৪ বলে ২২ রান প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশের জয়ের জন্য। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ দল অধিকাংশ সময়েই মুখ থুবড়ে পড়েছে।

কিন্তু এদিন আর সেই একই ব্যর্থতার গল্প লেখা হল না। বরং বলা যেতে পারে সাইফউদ্দিন হতে দিলেন না। একজন ফিনিশারের যে দায়িত্ব, সে দায়িত্ব তিনি পালন করলেন শতভাগ দৃঢ়তার সাথে। মুন্সিয়ানা দেখালেন ব্যাট হাতে। স্রেফ ৭ বলে ১৭ রানের মৃদু ঝড়ে বাংলাদেশের জয় হয়েছে সুনিশ্চিত।

 

আয়ারল্যান্ডের তৈরি হওয়া মোমেন্টামের উপড় দাঁড়িয়ে সাইফউদ্দিন হাঁকান একটি ছক্কা ও দুইটি চার। সেখানেই বরং সকল শঙ্কা উবে যায়। প্রায় ২৪৩ স্ট্রাইকরেটের ইনিংসটিতে ছিল সামর্থ্য আর সক্ষমতার ঝলক।

একজন পেস বোলিং অলরাউন্ডারের অভাব পূরণ করবেন সাইফউদ্দিন, সে প্রত্যাশা ছিল বহুদিনের। কিন্তু ইনজুরির কারণে সেই প্রত্যাশার ধারেকাছেও ছিল না সাইফউদ্দিনের পদচারণা। তবুও তার উপর ভরসা রেখেছে বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট।

সুযোগের এমন দূর্দান্ত ব্যবহার নিয়মিত করতে পারলেই সাইফউদ্দিনের ক্যারিয়ার পেতে পারে নবজীবন। কিন্তু তার বোলিংটা শঙ্কার কারণ। তাকে দিয়ে পূর্ণ চার ওভার না করানোই ভাল। তেমন এক পরিকল্পনার ছকে, সাইফউদ্দিনকে সেট করা গেলেই হয়ত তার কাছ থেকে মিলবে পরিপূর্ণ ফায়দা।

লেখক পরিচিতি

রাকিব হোসেন রুম্মান

কর্পোরেট কেরানি না হয়ে, সৃষ্টি সুখের উল্লাসে ভাসতে চেয়েছিলাম..

Share via
Copy link