আবার সেই চোটের কবলে

দুঃসংবাদ যেনো পিছু ছাড়ছে না মোহাম্মাদ সাইফউদ্দিনের। বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি কাপ শুরুর আগে অনুশীলনে ফুটবল খেলতে গিয়ে গোড়ালির চোটে পড়েছিলেন এই অলরাউন্ডার। চোট কাটিয়ে টুর্নামেন্টের শেষের দিকে কিছু ম্যাচ খেললেও এখনো সেই চোট বয়ে বেড়াচ্ছে সাইফউদ্দিন।

চোট পাওয়ার পর সাইফউদ্দিনের প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়েছিলো। বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি কাপে জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকার কারণে তখন বাইরে গিয়ে এমআরআই করা সম্ভব হয়নি। টুর্নামেন্ট শেষে এমআরআই করার পর লিগামেন্টে জটিলতা ধরা পড়েছে বলে জানিয়েছেন মোহাম্মাদ সাইফউদ্দিন।

আজ গনমাধ্যমের সাথে কথা বলার সময় তিনি বলেন, ‘আমরা যখন টুর্নোমেন্ট চলাকালীন বায়ো বাবলে ছিলাম যার কারনে এমআরআইটা করতে পারি নাই। তো এমআরআই যখন টুর্নামেন্ট শেষ হয় করি, এখানে লিগামেন্টে কিছু সমস্যা ছিল। আমি অনুভব করছিলাম যে নরমালি ব্যাথা হলে এক সপ্তাহ পর চলে যাওয়ার কথা। তারপরও কিছুটা সমস্যা হচ্ছিলো।’

ইনজুরি অনেকদিন ধরেই ভোগাচ্ছে এই পেস বোলিং অলরাউন্ডারকে। ২০১৯ বিশ্বকাপের আগে থেকে পিঠের ইনজুরিতে ভুগছিলেন। সে সময় ব্যাথা নিয়ে অনেকদিন খেলেছেন। এরপর কিছুদিন বিশ্রাম নিয়ে সেই ব্যাথাটা কমেছে। কিন্তু এখন নতুন করে বিপাকে পড়েছেন।

আপাতত বিসিবির তত্ত্বাবধায়নে আছেন সাইফউদ্দিন। তাকে তিন সপ্তাহের পর্যবেক্ষণে রেখেছে বিসিবি। সাইফউদ্দিন বলেন, ‘লিগামেন্টের সমস্যা হওয়ার পর এখন যে দেবাশীষ স্যার আছে, ফিজিও আছে আমাদের শাওন ভাই, বায়োজিদ ভাই তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি। উনাদের প্লান অনুযায়ী আগাচ্ছি আর কি।’

সাইফউদ্দিন এখনো জানেননা তার ইনজুরিটি গ্রেড ওয়ান নাকি গ্রেড টু। তিন সপ্তাহ পর্যবেক্ষণে রাখার পর আরো কিছু পরিক্ষা করে জানা যাবে তার ইনজুরির ধরণ।

সাইফউদ্দিন বলেন, ‘লিগামেন্টে কিছু সমস্যা বাকিটা তো আমি জানি না গ্রেড ১ নাকি ২, কিছু আছে নিশ্চয় যার কারণে আমাকে প্রায় তিন সপ্তাহের মতো উনাদের পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে এই টুকুই জানি। আমি আশাবাদী।এরপর আমার কিছু টেস্ট নেবে বোলিং টেস্ট বা রানিং, ফিটনেস ওভারঅল। তো সবকিছু যদি টিকে যাই তাহলে হয়তো বা ছাড়পত্র পাব।’

এই ইনজুরির ফলে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সাইফউদ্দিনের ওয়ানডে সিরিজটা খেলা। সিরিজ শুরু হতে তিন সপ্তাহের মতো সময়ই বাকী আছে। এখন তাকে তিন সপ্তাহ পুনর্বাসন করতে হবে। সে ক্ষেত্রে তিনি এই তিন সপ্তাহ পরই খেলা শুরু করতে পারবেন কি না, সেটা কেউ নিশ্চিত করতে পারছেন না।

তার ব্যাপারে বলতে গিয়ে বিসিবির প্রধাণ চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী বলছিলেন, ‘ওকে তিন সপ্তাহের রিহ্যাব প্লান দেওয়া হয়েছে। আমরা এখনই ভবিষ্যত নিয়ে কিছু বলতে পারছি না। এই তিন সপ্তাহ গেলে মন্তব্য করা যাবে।’

ক্যারিয়ারে এটাই সাইফউদ্দিনের প্রথম চোট নয়। এর আগেও অনেক বার চোটে পেয়েছেন সাইফউদ্দিন। চোট আর মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন যেনো একে অন্যের সমার্থক শব্দ। প্রতিবার চোট জয় করে মাঠে ফিরলেও মিস করেছেন অনেক ম্যাচ।

চোটের কারণেই খেলতে পারেননি বাংলাদেশের সবচেয়ে দর্শকপ্রিয় আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ-বিপিএল। চোটের কারণে গত বছর নভেম্বরে যেতে পারেননি ভারত সফরে। ২০১৯ এর ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের পর পিঠের সমস্যায় ভুগছেন সাইফউদ্দিন। পিঠের চোটের কারণে বিশ্বকাপের পর ৫ মাস মাঠের বাইরে ছিলেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link