সাইম আইয়ুব ব্যাটার না বোলার- সেটা বোঝা বরং দায়। একটা অপ্রীতিকর রেকর্ডের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছেন পাকিস্তানি ওপেনার। কিন্তু বল হাতের তিনি রীতিমত উড়ছেন এশিয়া কাপের মঞ্চে।
এশিয়া কাপে পাকিস্তানি ওপেনারের সর্বোচ্চ ২১ রানের একটি ইনিংস আছে ভারতের বিপক্ষে। বাকি পাঁচ ম্যাচের চারটিতেই তিনি ফিরেছেন শূন্যরানে। লজ্জার বিষয় বটে। তবে তার সেই লজ্জা বাড়িয়ে দিতে পারে এক অনাকাঙ্খিত রেকর্ড।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সাইম আইয়ুব শূন্যরানে আউট হয়েছেন নয়বার। তার উপরে আছেন তারই অগ্রজ উমরান আকমাল। দশবার ডাক মেরেছেন উমরান। এবারের এশিয়া কাপেই সাইম আইয়ুব হয়ত ছুঁয়ে ফেলতে পারেন উমরানের অপ্রীতিকর সেই রেকর্ড।

ব্যাট হাতে ফর্মহীনতার দুর্দশায় অবাস্তব মনে হচ্ছে না তা। তবুও পাকিস্তান দল তাকে একাদশ থেকে বাদ দিতে পারছে না। কারণ ব্যাট হাতে যতটা অকার্যকর তিনি, বল হাতে ঠিক তার উল্টো। দূর্দান্ত এক অফ স্পিনারে পরিণত হয়েছেন তরুণ এই ব্যাটার।
খানিকটা ব্যাঙ্গাত্মকভাবেই তার তুলনা হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার স্টিভেন স্মিথের সাথে। স্মিথ তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন লেগ স্পিনার হিসেবে। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় তিনি অন্যতম সেরা ব্যাটারে পরিণত হয়েছিলেন। সাইমের ছুটে চলা বিপরীত পথে।
সম্ভাবনাময় ব্যাটার হিসেবে গোটা পাকিস্তান জুড়েই তার প্রশংসার ফুলঝুড়ি। কিন্তু এবারের এশিয়া কাপে ব্যর্থতার গল্পও আছে ভুরি ভুরি। ছয় ম্যাচ খেলে সর্বসাকুল্যে ২৩ রান নেওয়া একজন ব্যাটারকে ব্যর্থ বলা ছাড়া দ্বিতীয় কোন উপায় তো নেই আর বাকি।

কিন্তু বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে তিনি করে যাচ্ছেন বাজিমাত। আট উইকেট নিয়ে যৌথভাবে তিনি এশিয়া কাপের ষষ্ঠ সেরা বোলার। ব্যাটারের মস্তিষ্ক পড়ে, পরিস্থিতির চাহিদা মেনে তিনি করে যাচ্ছেন অফস্পিন। প্রয়োজনের মুহূর্তে বলের গতির সাথে খেলছেন, ব্যাটারকে ভরকে দিচ্ছেন বৈচিত্র্যে।
পাঁচ ইনিংসে বল করে রান বিলিয়েছেন ৬.৫৮ ইকোনমিতে। হুট করেই পারফরমেন্সের এমন ৩৬০ ডিগ্রি পরিবর্তন, পাকিস্তানকে ফেলে দিয়েছে দ্বিধার সাগরে। স্রেফ বোলিংয়ের জোরে তিনি এশিয়া কাপে সুযোগ পেয়ে গেছেন প্রতিটা ম্যাচে।
এবার ফাইনালের মঞ্চে ভারতের বিপক্ষে সাইমের কাছ থেকে প্রত্যাশা থাকবে বটে। তিনি তা ব্যাট দিয়ে পূরণ করবেন না বল হাতে- তা হয়ত সময়ই বলে দেবে।












