ম্যাচের তখন অন্তিম মুহূর্ত, মাঠের বামপ্রান্ত থেকে ক্রস পাঠান মার্টিনেল্লি। সবাইকে অবাক করে দিয়েই সেই ক্রস থেকে বল জালে পাঠান বুকায়ো সাকা। তখনি উদযাপনে মেতে উঠে আর্সেনাল, জয় নিশ্চিত ধরেই নিয়েছিল তাঁরা। কিন্তু বেরসিক ভার উদযাপনে বাদ সাধে!
খানিক পরে জানিয়ে দেয়া হয় অফসাইডের সিদ্ধান্ত, বল পায়ে আসার আগেই অফসাইডে চলে গিয়েছিলেন মার্টিনেল্লি। তাতেই হাতের মুঠো থেকে জয় হাতছাড়া হয় তাঁদের। সেই সাথে হাতছাড়া হয় জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার সুযোগও।
জিতলে অন্তত টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে থাকতে পারতেন গানার্সরা, কিন্তু শুরুতেই সেই আশায় জল ঠেলে দেন রাউল জিমেনেজ। প্রথম একাদশে ফিরেই গোলের দেখা পান তিনি, তবে তাঁর পাশাপাশি কৃতিত্ব দিতে হয় কেন্নি টেটেকেও। একেবারে নিখুঁত থ্রু পাসে তিনি খুঁজে নিয়েছিলেন জিমেনেজকে।
প্রথমার্ধের বাকি সময় লিড ধরে রাখতে পেরেছিল ফুলহ্যাম; ফাইনাল থার্ডে ফরোয়ার্ডদের তীক্ষ্ণতার অভাবে গোল পেয়েও পায়নি আর্সেনাল। ডেকলাইন রাইস একের পর এক সুযোগ তৈরি করলেও সেই অর্থে পরীক্ষা দিতে হয়নি ফুলহ্যাম গোলরক্ষককে। তবে বিরতির পরপরই সমতায় ফেরে তাঁরা; রাইসের ক্রস কাই হাভার্টজের মাথা ছুঁয়ে চলে আসে উইলিয়াম স্যালিবার পায়ে। একেবারে কাছ থেকে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান তিনি।
সেট পিস থেকে গোল করাটা আসলে প্রতিদিনকার রুটিনে পরিণত করেছেন স্যালিবা, এই নিয়ে গত মৌসুমের শুরু থেকে ডেড বল সিচুয়েশন থেকে ছয় গোল করেছেন তিনি। এর চেয়ে বেশি গোল করতে পেরেছেন তাঁরই সতীর্থ গ্যাব্রিয়েল ম্যাগালহ্যায়েস – এ যেন আর্সেনালের জমিদারি।
তবে শেষপর্যন্ত হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়ে মিকেল আর্তেতার শিষ্যরা। টানা তিন ম্যাচ জেতার পর মাঝারি সারির একটা দলের কাছে পয়েন্ট খোয়ানো মোটেই কাম্য ছিল না।