উইকেটে আসলেন সাকিব আল হাসান, চোখেমুখে নিরীহ ভাব। কিন্তু ব্যাট হাতে আগুন ঝরালেন যেন; পৌরাণিক কোন চরিত্রের মত হয়ে উঠলেন অগ্নিমানব। তাঁর সেই আগুনে পুড়ে গেলেন থিসারা পেরেরা, পুড়ে গেলো পুরো ক্যান্ডি।
সাকিবের বর্তমান সময়টা ভাল যাচ্ছে না, চোখের দৃষ্টি ক্ষীণ হয়ে গিয়েছে। রাজনৈতিক কারণে দেশের মাটিতে তো ক্রিকেটই খেলতে পারছেন না, আবার বোলিং অ্যাকশনের কারণে খেলতে হচ্ছে স্পেশালিষ্ট ব্যাটার হিসেবে।
সবমিলিয়ে তাই জেদ বুকে নিয়েই লঙ্কা টি-টেন লিগের প্লে-অফ রাউন্ডে খেলতে নেমেছিলেন এই তারকা। কলার কামড়ে ধরেই হাঁকিয়েছেন একের পর এক ছক্কা; পেরেরার দ্বিতীয় বলটা ফাইন লেগ অঞ্চল দিয়ে বাউন্ডারির ওপারে ছুঁড়ে ফেলেন তিনি। পরের বলে কোন রান না আসলেও চতুর্থ বলে দৌড়ে দুই রান নেন তিনি। তবে শেষ দুইটা বলকে আর ছাড় দেননি, লং অন আর ফাইন লেগ দিয়ে সরাসরি ছক্কা!
তাঁর ছোট অথচ ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ এই একটা ক্যামিওতেই জয় নিশ্চিত হয়ে যায় গল মার্ভেলসের। তবে জয়ের নায়ক সাকিবকে উইনিং শট খেলার সুযোগ করে দেন ক্রিকেট বিধাতা, শেহান জয়াসুরিয়াকে ব্যাক টু ব্যাক চার হাঁকিয়ে দলকে কোয়ালিফায়ারে পৌঁছে দেন তিনি।
শেষপর্যন্ত আট বলে ২৯ রান করে অপরাজিত ছিলেন এই বাঁ-হাতি, দুই চার ও তিন ছয়ে সাজানো ইনিংসে স্ট্রাইক রেট সাড়ে তিনশরও বেশি। কলার কামড়ে ধরেই তিনি বনে গেলেন ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারক; বলতেই হয়, কলার কামড়ানো থেকে যদি ভাল কিছু হয় তাহলে কলার কামড়ানোই ভাল।
এর আগের ম্যাচে দলের মোট রানের অর্ধেকের বেশি এসেছিল সাকিবের ব্যাট থেকেই। সবমিলিয়ে চলতি টুর্নামেন্টে ব্যাটার সাকিব আরো ধারালো হয়ে উঠেছেন। বোধহয় বোলিং করতে না পারা তাঁকে আরো পরিপূর্ণ ব্যাটার করে তুলেছে।