অবিশ্বাস্য, অবিস্মরণীয়, অদ্ভুতড়ে! কোন বিশেষণ দিয়ে বিশেষায়িত করবেন সালমান হোসেন ইমনের এই নাটকীয় ফিনিশিংকে? এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে বরিশালের বিপক্ষে শেষ ওভারে ২৫ রান চেজ করে দলকে ভিড়িয়েছেন জয়ের বন্দরে। ২৮ বলে ৫৩ রানের বিধংসী ইনিংসটাতে ছিল চারটি ছক্কা আর দুইটি বাউন্ডারির মার।
যদিও সালমান নামটা দেশের ক্রিকেটে কালের গর্ভে হারিয়ে গেছে অনেক আগেই। মাত্র ১৪ বছর বয়সেই প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল তার। অপার প্রতিভাবান সালমানকে নেক্সট ‘বিগ থিং’ ভাবতেন অনেকেই। তবে বেলা গড়িয়ে গড়িয়ে বয়সটা ২৭ পার হয়ে গেলেও, নিজেকে আর সেভাবে কখনও মেলে ধরতে পারেননি তিনি।
যদিও অস্তমিত সূর্যটার শেষ রঙিন আভাটা যেন এদিন দেখা গেল সিলেটে। চট্টগ্রামের ১৮৩ রানের বিশাল টার্গেট চেজ করতে নেমে, নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বরিশাল। প্রায় হেরে যাওয়া ম্যাচের শেষ ওভারের নাটকীয় দৃশ্যপটে হাজির ফুরিয়ে যাওয়া সালমান।
প্রথম বলটা ডট, পরে দুই বলে টানা দুই ছয়। শেষ ওভারের চার নম্বর বলটাতে চার ও পাঁচ নম্বর বলটাতে নো বলে মারলেন আরেক ছক্কা। কিন্তু ফ্রি হিটটা মিস করায় ইনিংসের শেষ বলে লাগত দুই রানের। ইরফান হোসেনের শট লেন্থের বলটা স্ট্যাম্পের পিছে ঠেলে দিয়ে বাউন্ডারি ছাড়া করে দিলেন।
সর্তীথদের মধ্যে ততক্ষণে ছড়িয়ে পড়েছে বাঁধভাঙা উল্লাস। কি রুদ্ধশ্বাস এক ম্যাচই না তিনি জেতালেন! কিন্তু বড্ড দেরিই কি করে ফেললেন সালমান? যদি-কিন্তুর প্রশ্নটা তাই রয়েই গেল, সাথে থাকলো একরাশ আক্ষেপও।