টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ যতই ঘনিয়ে আসছে ততই স্কোয়াড নিয়ে বাড়ছে সবার আগ্রহ। ব্যতিক্রম নয় ভারতও, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) চলমান থাকলেও থেমে নেই সেরা পনেরো নিয়ে আলোচনা। আর এসব আলোচনায় বিশেষ জায়গা দখল করেছে উইকেটকিপার ব্যাটাররা, কেননা এই ভূমিকায় সুযোগ পেতে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেতে উঠেছেন সাঞ্জু স্যামসন আর ঋষাভ পান্ত।
দিল্লি ক্যাপিটালসের ম্যাচ শেষ হলেই মনে হয় পান্ত বুঝি উঠবেন বিমানে, কিন্তু রাজস্থান রয়্যালসের খেলা দেখলে ভাবনা বদলায়। এইতো লখনৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে রাজস্থানের ম্যাচে যেভাবে পারফরম করেছেন স্যামসন এরপর তাঁকে স্কোয়াডের বাইরে কল্পনা করতেও সম্ভবত খারাপ লাগবে ক্রিকেটপ্রেমীদের।
এদিন মাত্র ৩৩ বলে অপরাজিত ৭১ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস উপহার দিয়েছেন এই ব্যাটার, সাত চার আর চার ছয়ে সাজানো ইনিংসটিতে ভর করেই ম্যাচ জিতে নিয়েছে রাজস্থান। প্রতিপক্ষের ছুঁড়ে দেয়া ১৯৭ রানের টার্গেট সাত উইকেট এবং এক ওভার হাতে রেখেই টপকে গিয়েছে; ফলতঃ টেবিলের শীর্ষস্থান আরো মজবুত হলো তাঁদের।
ওপেনিংয়ে অবশ্য যশস্বী জয়সওয়াল আর জশ বাটলার দারুণ সূচনা এনে দিয়েছিলেন দলকে। তাই স্যামসনকে বাড়তি কিছু করতে হয়নি, কেবল আস্কিং রান রেটের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলেছেন। যদিও বলতে সোজা হলেও আদতে মাঠে সেটা করা কঠিনই। তবে কঠিন কাজটা দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে অনায়াসে সম্পন্ন করেছেন তিনি।
পুরো ইনিংস জুড়ে তাঁকে কখনোই চাপে রাখতে পারেনি লখনৌর বোলাররা, উল্টো নিয়মিত বাউন্ডারি আদায় করে জয়ের সমীকরণকে হাতের নাগালে রেখেছিলেন। হাফসেঞ্চুরি করার পরেও তাঁর মনোসংযোগে ব্যাঘাত ঘটেনি, ম্যাচ শেষ করে তবেই মাঠ ছেড়েছেন। তাছাড়া শেষদিকে নেট রান রেট বৃদ্ধির জন্য যেভাবে খেলেছেন এই তারকা, সেটি তাঁর উন্নত গেমসেন্সের প্রমাণ দেয়।
চলতি আইপিএলে ইতোমধ্যে তিনশর বেশি রান করে ফেলেছেন তিনি; পেয়েছেন তিনটি পঞ্চাশোর্ধ ইনিংসের স্বাদ। পান্তের সঙ্গে তাঁর এমন দ্বন্দ তাই মধুর সমস্যায় ফেলে দিয়েছে ম্যানেজম্যান্টকে। এখন দেখার বিষয়, এদের মধ্যে কাকে দেয়া হবে বিশ্বকাপের টিকিট; দু’জনেই পাবেন সেই সম্ভাবনাও নেহাত কম নয়।