ডিভোর্স কেস ফাইল করেছেন শোয়েব-সানিয়া

শোয়েব মালিক ও সানিয়া মির্জার বিচ্ছেদ – খবরটা আর গুঞ্জন নয়। সত্যি। এমনই দাবি করছে পাকিস্তানি গণমাধ্যমগুলো। এমনকি দু’জনের ঘনিষ্ট এক বন্ধুও এই খবরের সত্যতা স্বীকার করেছেন।

জানা গেছে, ১২ বছরের বৈবাহিক জীবনের ইতি ঘটাতে এরই মধ্যে ডিভোর্স কেস ফাইল করেছেন এই তারকা দম্পতি। সব রকমের পেপার ওয়ার্ক হয়ে গেছে, এখন কেবল কিছু ফর্মালিটিজ বাকি।

দু’জনের একমাত্র সন্তান ইজহান মির্জা মালিককে নিয়ে দুবাইয়ে আছেন ভারতীয় টেনিস তারকা সানিয়া। আর মালিক আছেন পাকিস্তান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তিনি এ স্পোর্টসের বিশেষজ্ঞ প্যানেলে আছেন।

শোয়েব মালিকের ম্যানেজমেন্ট টিমের এক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সদস্য ডিভোর্সের খবরের সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আনুষ্ঠানিক ভাবে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। এর চেয়ে বেশি কিছু এখন আমি বলতে পারছি না। শুধু এটুকু বলতে পারি যে তাঁরা এখন আলাদা।’

২০১০ সালে এই জুটি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ২০১৮ সালে তাঁদের একমাত্র সন্তানের জন্ম হয়। দুবাইয়ে বিলাসবহুল এক বাড়িতে তাঁদের সংসার।

শোয়েব মালিক হলেন এখনকার ক্রিকেট দুনিয়ার গুটিকয়েক মানুষদের একজন যারা ২০০০ সালের আগে আন্তর্জাতিক ময়দানে অভিষিক্ত হওয়ার পরও খেলে যাচ্ছেন।

ভারতীয় ও পাকিস্তানি কিছু গণমাধ্যম বলছে, একটা বিজ্ঞাপনের অংশ নিতে গিয়ে অন্য এক নারীর সাথে সম্পর্কে জড়ান শোয়েব মালিক। তেমন খবর জানাজানি হওয়ার পরই, সকলের নজর এসে পড়েছে শোয়েব-সানিয়ার সম্পর্কের ওপর। গুঞ্জন আরও বেড়েছে সানিয়ার ইনস্টাগ্রামে একটি স্টোরি দেওয়ার পর।

সেখানে একটি স্টোরিতে সানিয়া লেখেন, ‘ভাঙা হৃদয় কোথায় যায়?’ সৃষ্টিকর্তাকে খুঁজতে।’ ছেলের সঙ্গে একটি ছবিও পোস্ট করেন তিনি। তাতে দেখা যাচ্ছে, মায়ের নাকের উপর চুমু খাচ্ছে সানিয়া-পুত্র ইজহান মির্জা মালিক। সানিয়া ছবিতে ক্যাপশন দিয়ে লিখেছেন, ‘যে মুহূর্তগুলো কঠিন সময় পার করে দেয়।’

‘কঠিন সময়’ বলতে সানিয়া কি বুঝিয়েছেন, সেটা জানা না গেলেও নেটিজেনদের মতে সেটা শোয়েব মালিকের সাথে বিচ্ছেদের সাথে সম্পর্কিত। যদিও, দু’জনেরই কেউই এই বিচ্ছেদ নিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে মুখ খোলেননি।

চলতি বছরে ইউএস ওপেনে খেলে টেনিস থেকে অবসর নেবেন বলে জানিয়েছিলেন সানিয়া মির্জা। কিন্তু চোটের কারণে এ বারের ইউএস ওপেনে খেলতেই পারবেন না সানিয়া মির্জা। তাতে বদলে গিয়েছে অবসরের ভাবনাও।

ক’দিন আগে শোয়েব ও সানিয়া – দু’জনকে এক সাথে ছেলের জন্মদিন উদযাপন করতেও দেখা গেছে। সেই জন্মদিনের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শোয়েব মালিক পোস্ট করলেও সানিয়া করেননি। সূত্রের খবর হল, সানিয়া এবং শোয়েব এখন আর একসঙ্গে থাকছেন না। যদিও, তাঁদের একমাত্র সন্তানকে দু’জন মিলেই দেখাশোনা করছেন।

গুঞ্জন আছে, শোয়েবের এটাই নাকি প্রথম বিয়ে নয়। এর আগে আরেকটা বিয়ে হয়। যদিও, সেই সংসার টিকে মাত্র চারদিন। আবার, অনেক গণমাধ্যম এটাও বলছে যে সানিয়ার সাথে ডিভোর্সের সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে শোয়েব মালিক আবারও বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন।

তবে, সানিয়ার বাবা ইমরান মির্জা পুরো বিষয়টাকে অর্ধেক সত্য বলে দাবি করেছেন। এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘ গত কয়েক দিন ধরে আমাদের জীবনের একটি নির্দিষ্ট বিষয়কে নিয়ে প্রকাশ্যে অনেক আলোচনা হচ্ছে, যাতে আমি এবং আমার পরিবার বিধ্বস্ত। অর্ধেক সত্য দিয়ে তৈরি হওয়া আমাদের জীবনের একটি বিষয়কে নিয়ে অনেকেই আমাকে ব্যক্তিগতভাবে বিরক্ত করছেন এবং একের পর এক প্রশ্নবাণে জর্জরিত করছেন।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘শোয়েব মালিক ও সানিয়া মির্জা গত ১২ বছর ধরে বিবাহিত জীবন কাটাচ্ছে। বাকিদের মতোই ওদের জীবনেও ওঠানামা রয়েছে। টম, ডিক, হ্যারির মত কিছু কিছু ব্যক্তি সেটিকে নিয়ে উত্তেজক কাহিনি তৈরি করার চেষ্টা করছেন, যা আমরা কোনোমতেই সমর্থন করি না।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link