এক এক করে পাঁচটি ছক্কা। ওয়াগন উইলে সামনের দিকে সবকিছুই লাল। রিশাদ হোসেন স্রেফ আকাশ পানে বোকার মত চেয়ে রইলেন। বাইশ গজে উৎসব করলেন সাঞ্জু স্যামসন। তরুণ বোলার রিশাদের আত্মবিশ্বাসকে স্টেডিয়ামের বাইরে ছুড়ে ফেললেন সাঞ্জু।
দীর্ঘ অপেক্ষার ফসল হাতে এসে ধরা দিল সাঞ্জু স্যামসনের। বারংবার সুযোগ পেয়েও নিজেকে প্রমাণ করতে পারছিলেন না। অবশেষে যেন নিজের সামর্থ্যের যথাযথ উত্তর হয়ে ধরা দিলেন সাঞ্জু। বিধ্বংসী এক ব্যাটারের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠলেন তিনি। তুলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিজের প্রথম শতক, ভারতের হয়ে দ্বিতীয় দ্রুততম।
ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত পারফরমার সাঞ্জু স্যামসন। সম্ভাবনার গভীর জলাধি তিনি। সে সুবাদে জাতীয় দলেও সুযোগ মিলেছে তার নিয়ম করে। নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি তিনি খুব একটা। নিয়ম করে পারফরম করবেন তিনি- সেটাই প্রত্যাশিত তার কাছ থেকে। কিন্তু তবুও তৃপ্তির দেখা মিলছিল না।
হায়দ্রাবাদে নিজের পাওয়া সুযোগকে কাজে লাগালেন তিনি। দারুণ এক শতক তুলে নিয়েছেন। সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে নিজের জাত চেনালেন ডানহাতি এই ব্যাটার। খানিক বৈরি পরিবেশে ব্যাটিং করবার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ভারতের অধিনায়ক। তবে বৈরিতাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিলেন সাঞ্জু।
অভিষেক শর্মা আউট হলেন। তবুও টলেনি সাঞ্জুর পা। তিনি ঠায় দাঁড়িয়ে থেকে তুলোধুনো করলেন বাংলাদেশি বোলারদের। কখনো ফ্রন্ট ফুটে, কখনো ব্যাক ফুটে ব্যাট চালিয়েছেন আপন ছন্দে। রান এসেছে তার ব্যাট থেকে ২০০ এর বেশি স্ট্রাইকরেটে। টাইগার বোলারদের কাছে, স্যাঞ্জুর কোন উত্তরই যেন জানা ছিল না।
মাঠের চারিদিকে শট চালিয়েছেন স্যাঞ্জু। দলকে শুভ সূচনা এনে দিয়েছেন। পাশাপাশি বড় সংগ্রহের ভীত গড়ে দিয়েছেন। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তিনি। ৩৩ তম ম্যাচে এসে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। তার ভেতর থাকা সম্ভাবনা, আর তার উপর থাকা প্রত্যাশার সাথে বড্ড বেমানান। তবুও নিজের সক্ষমতার প্রতিফলন ঘটালেন তিনি অবশেষে।