বিজ্ঞানী সাই কিশোরের নিজস্ব পরীক্ষাগার

সাই কিশোর এখন জলজ্যান্ত এক পরীক্ষাগার। তিনি নিজের প্রতিটা ডেলিভারি নিয়ে আলাদা করে ভাবেন। বুদ্ধি করেন, বিশ্লেষণ করেন ব্যাটারদের মুভমেন্টকে। কাজে লাগান নিজের গেম অ্যাওয়ারনেস। ফিঙ্গার স্পিনারদের কঠিন এই সময়ে এই ছোট ছোট পরিকল্পনাতেই ২৮ বছর বয়সী এই তরুণ আলাদা বনে যান।

২০১৬ সাল। মাত্র ২০ বছর বয়সী এক নবীন স্পিনার তখন তামিলনাড়ু প্রিমিয়ার লিগের (টিএনপিএল) ম্যাচে তর্কে জড়ালেন রবিচন্দ্রন অশ্বিনের সাথে। লোকে বললো, ‘আগে পারলে অশ্বিনের মত বোলিং করো!’

সেই কথাটিই যেন জীবনের মন্ত্র করে নিয়েছিলেন রবিশ্রীনিবাসন সাই কিশোর। বছর ঘুরতেই বদলে যেতে শুরু করল চিত্র। আজ তিনি শুধু বল হাতে ধারাল এক অস্ত্র নন, ক্রিকেট নিয়ে তাঁর ভাবনাটাও অনেক গভীর। এমনি এমনি তো আর তাঁকে হার্দিক পান্ডিয়া ‘সায়েন্টিস্ট’ বলে ডাকতেন না।

সাই কিশোর ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝে নিজেকে বদলে নিতে জানেন, জানেন প্রতিপক্ষ ব্যাটারের মনে ঢুকে যাওয়ার কৌশল। ঠিক যেন রবি অশ্বিনেরই ছায়া — তবে সেই কাজটা তিনি করেন নিজের মত করে। এই টি-টোয়েন্টির যুগে ফিঙ্গার স্পিনারদের যেখানে টিকে থাকাই কঠিন, সেখানে সাই কিশোর রাজত্ব করতে চান। সাই কিশোর সত্যিকারের এক আধুনিক স্পিনার।

চলতি আইপিএলের অন্যতম বিস্ময় বলা যায় তাঁকে। চার ম্যাচে আটটা উইকেট পেয়েছেন। সর্বশেষ সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদকেও তিনি যথেষ্ট ভোগালেন। খ্যাতনামা ব্যাটিং লাইন আপের বিপক্ষে চার ওভারে হজম করলেন মাত্র ২৪ রান। স্পিনের যম হেনরিক ক্লাসেনকে বোল্ড করেছেন, আউট করেছেন নিতিশ কুমার রেড্ডিকেও। দু’জনই সেসময় বিপজ্জনক হয়ে উঠছিলেন।

সেটাই গুজরাট টাইটান্সের জন্য ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। কার্যত, সাই কিশোর এখন জলজ্যান্ত এক পরীক্ষাগার। তিনি নিজের প্রতিটা ডেলিভারি নিয়ে আলাদা করে ভাবেন। বুদ্ধি করেন, বিশ্লেষণ করেন ব্যাটারদের মুভমেন্টকে। কাজে লাগান নিজের গেম অ্যাওয়ারনেস। ফিঙ্গার স্পিনারদের কঠিন এই সময়ে এই ছোট ছোট পরিকল্পনাতেই ২৮ বছর বয়সী এই তরুণ আলাদা বনে যান।

Share via
Copy link