একটি শিরোপার জন্য কত প্রতীক্ষা, কত হাহাকার; নব্বই মিনিটে ধরে ফুটবল নিয়ে লড়াইয়ের মূল লক্ষ্য ট্রফিতে চুমু আঁকতে পারা। তবু হ্যারি কেইনের মত কেউ আজন্ম সাধনা করেও আকাঙ্খিত মঞ্চে পৌঁছুতে পারেননা, ভাগ্য সহায় হয়না তাঁদের। মুদ্রার অন্য পিঠও আছে, মাঠে নামার আগেই ট্রফির দেখা পেয়ে যান তাঁরা – এমনই একজন স্কট কারসন।
নিয়মিত ফুটবলের প্রেমে বুদ হয়ে থাকা প্রেমিকরাও হয়তো চিনবেন না তাঁকে, তিনি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের (ইপিএল) বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটির গোলরক্ষক। অবশ্য মাঠে যতক্ষণ খেলেছেন সেই তুলনায় তাঁর অর্জন রীতিমতো উপচে পড়ছে ঝুলি থেকে।
চলতি মৌসুমে লিগ জেতার মধ্য দিয়ে টানা চারটি লিগ শিরোপা জয়ের স্বাদ পেয়েছেন তিনি। ২০১৯ সালে ম্যানসিটি শিবিরে লোনে যোগ দেয়ার পর ২০২০/২১, ২১/২২, ২২/২৩ এবং ২৩/২৪ মৌসুমে ইপিএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্মৃতি যোগ হয়েছে তাঁর ঝুলিতে। আবার লিগ কাপ ও সুপার কাপ উদযাপন করতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে।
এছাড়া গত বছর উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছিলেন এই বর্ষীয়ান ফুটবলার, জিতেছিলেন উয়েফা সুপার কাপ এবং ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের মত শিরোপা। সবমিলিয়ে তাঁর অর্জিত ট্রফির সংখ্যা ১১টি, অথচ এসময় তিনি মাঠে নেমেছেন স্রেফ ১০৭ মিনিটের জন্য। অর্থাৎ গড়ে দশ মিনিটের কম সময় খেলেই একটা করে ট্রফির স্বাদ পান।
এই ইংলিশ ভদ্রলোক মূলত সিটিজেন স্কোয়াডে তৃতীয় পছন্দের গোলরক্ষক। অনুশীলনে সতীর্থদের সাহায্য করা আর এডারসন ও ওর্টেগাদের সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করাই তাঁর প্রধানতম দায়িত্ব এখন।
অবশ্য কারসনের ফুটবল ক্যারিয়ার মোটেই ছোট নয়, ২০০৩ সালে লিডস ইউনাইটেডের হয়ে পেশাদার ফুটবলে পা রেখেছিলেন। এরপর খেলেছেন লিভারপুল, অ্যাস্টন ভিলার মত ক্লাবে; অলরেডদের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগও জিতেছিলেন বটে। তবে তাঁর জীবনে সবচেয়ে উজ্জ্বল হয়ে থাকবে ম্যানসিটি অধ্যায়; কেননা অভিজ্ঞতার বিনিময়ে ট্রফি কিনে চলছেন তিনি।