শামুক গতির সৌম্যই তবে লিটনের বিকল্প!

২২ গজে খেলতে নয়, বরং টিকে থাকতেই গিয়েছিলেন সৌম্য সরকার। রানের খাতা খুলতে প্রথমে রীতিমত সংগ্রামই করে গেলেন বাঁ হাতি এই ব্যাটার। সংগ্রামটা জিম্বাবুয়ের কোনো বোলারের বিপক্ষে নয়, বরং নিজের সাথেই লড়াই করেছেন তিনি।

মিরপুরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশ এই সিরিজ ইতোমধ্যেই জয় করে ফেলেছে। তাই তো মানসিক চাপ মাঠের বাইরে রেখে আসার কথা ছিল বাংলাদেশী ব্যাটারদের। ওপেনিংয়ে ব্যাট করতে নামেন তানজিদ হাসান তামিম এবং সৌম্য সরকার। তামিম ভয়ডরহীন এক ইনিংস খেললেও সৌম্য ছিলেন ব্যতিক্রম।

লিটন কুমার দাসের পরিবর্তে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে দলে জায়গা পান সৌম্য। তবে এই ম্যাচে রান করতে বেশ বেগ পেতে হয় তাঁকে। ব্যাটে বলে সংযোগই ঘটাতে পারছিলেন না তিনি। দলের সংগ্রহ যখন ৫০, সেখানে সৌম্যের রান ছিল তখন মাত্র ৫। তাঁর টি-টোয়েন্টিতে ছিল ওয়ানডের আঁচ।

সৌম্য ৩৪ বল খরচ করে ১২০.৫৯ স্ট্রাইক রেটে করেন ৪১ রান। টি-টোয়েন্টিতে যা বড্ড বেমানান। তবে যেখানে ছিল ৩ টি চার আর ২ টি ছক্কার মার। এই গুটিকয়েক বাউন্ডারিগুলো ছাড়া সৌম্যের ইনিংসে আহামরি কিছুই ছিল না। বেশ অনেকক্ষণ ২২ গজে সময় পার করলেও অর্ধ শতক ছাড়াই সাঝঘরে ফিরতে হয় তাঁকে। লুক জঙ্গুইয়ের এলবিডব্লিউর ফাঁদে আটকা পড়েন এই ওপেনার।

অথচ তার জন্যেই অপেক্ষা করে গেছে বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট। প্রতিদান তিনি যেন দিলেন শামুক গতির এক ইনিংস খেলে। অন্য ওপেনার লিটন রয়েছেন দারুণ ছন্দহীন অবস্থায়। এমন সময়ে সৌম্য স্রেফ নিজের নামের পাশে কয়েকটা রানই যেন করতে চাইলেন। দলের তাতে উপকার আদোতে হবে কি-না সে ভাবনা যেন হাওয়াই মিঠাই।

আর কিছুদিন পরেই শুরু হতে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আর তাই বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের ওপেনিং ব্যাটার নিয়ে বোধহয় আরো একবার ভাবতে হবে। নয়তো বিশ্ব মঞ্চে সৌম্যের মত কচ্ছপ ইনিংসের সাক্ষী হতে হবে বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link