ভরসা হতে পারবেন তানজিদ তামিম?

অভিষেক ম্যাচেই এই ব্যাটার পেয়েছিলেন হাফসেঞ্চুরির স্বাদ, পরের দুই ম্যাচে বলার মত কিছু না করলেও চতুর্থ ম্যাচে এসে আবারো পঞ্চাশোর্ধ ইনিংসের দেখা পেলেন তিনি।

তানজিদ হাসান তামিমের যখন ওয়ানডেতে অভিষেক হয় তখন অনেকেই মত দিয়েছিলেন তাঁর খেলার ধরনের সাথে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটই বেশি মানানসই; ওয়ানডেতে সুযোগ দেয়ার আগে তাই তাঁকে টি-টোয়েন্টি খেলানো উচিত ছিল। সেসব আলোচনা সঠিক প্রমাণ হয়েছে চলমান জিম্বাবুয়ে সিরিজে। প্রথমবারের মত বিশ ওভারের সংস্করণে সুযোগ পেয়ে বাজিমাত করেছেন তিনি।

অভিষেক ম্যাচেই এই ব্যাটার পেয়েছিলেন হাফসেঞ্চুরির স্বাদ, পরের দুই ম্যাচে বলার মত কিছু না করলেও চতুর্থ ম্যাচে এসে আবারো পঞ্চাশোর্ধ ইনিংসের দেখা পেলেন তিনি। ওপেনিংয়ে নেমে পাওয়ার প্লের সুবিধা আদায় করা কিংবা নান্দনিক সব শটে মুগ্ধতা ছড়ানো সবই ছিল তাঁর ব্যাটিংয়ে।

মিরপুরের শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে এদিন ৩৭ বলে ৫২ রান করেছেন এই বাঁ-হাতি। একটি ছক্কার বিপরীতে সাতটি চারের সাহায্যে ইনিংসটি সাজিয়েছেন তিনি। তাঁর এমন পারফরম্যান্সে ভর করেই টি-টোয়েন্টির সাথে মানানসই সূচনা পেয়েছে বাংলাদেশ; ওপেনিং জুটি নিয়ে ভয়ও অনেকটা কেটেছে।

আগের তিন ম্যাচের সঙ্গী লিটন দাসের পরিবর্তে সৌম্য সরকারের সঙ্গে ম্যাচের উদ্বোধন করেছিলেন তানজিদ তামিম। তবে রান করার কাজটা তিনি একাই করেছেন; বিস্ময়কর মনে হলেও সত্য যে প্রথম পাঁচ ওভারে দলের রান যখন ৪২ তখন তাঁর নামের পাশে ছিল ৩৯ রান!

তাই তো হাফসেঞ্চুরির দেখা পেতে বেশি সময় প্রয়োজন হয়নি এই তরুণের, ৩৪ বলেই ব্যক্তিগত মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। যদিও ইনিংস বড় করতে পারেননি, স্লোয়ারে বিভ্রান্ত হয়ে উইকেট দিয়ে বসেছিলেন। ক্রিজে সেট হওয়া বা হাফসেঞ্চুরি করার পর বড় রানের করার ক্ষেত্রে তাঁর দুর্বলতা আগ থেকেই ছিল; এদিকটা নিয়ে তাই কাজ করতে হবে তাঁকে।

তবু চার ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ১৫৮ রান করা জুনিয়র তামিমকে নিঃশর্তে প্রশংসা করতেই হয়। প্রতিপক্ষ যে-ই হোক তিনি যেভাবে পারফরম করেছেন সেটি তাঁর প্রতিভার সাক্ষ্য দেয়। এখন এই প্রতিভাকে পুঁজি করে এগিয়ে যাওয়ার পালা।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...