সুদর্শন হওয়ায় ক্যারিয়ার বড় হয়নি আহমেদ শেহজাদের!

চেহারা ভাল হওয়ার জন্য নাকি সিনিয়ররা নাখোশ ছিলেন তাঁর ওপর - এক পডকাস্টে তিনি নিজেই সেটা দাবি করলেন।

সুদর্শন হওয়াটাই নাকি বিপদ ডেকে এনেছিল আহমেদ শেহজাদের ক্যারিয়ারে। চেহারা ভাল হওয়ার জন্য নাকি সিনিয়ররা নাখোশ ছিলেন তাঁর ওপর – এক পডকাস্টে তিনি নিজেই সেটা দাবি করলেন।

অভিনেতা আহমেদ আলী ভাটের সঞ্চালনায় এক পডকাস্টে আহমেদ শেহজাদ বলেন, ‘সুদর্শন হওয়াটা আমার অনেক ক্ষতি করে। আমাদের ফিল্টে আসলে দেখতে সুন্দর হওয়া, মার্জিত পোশাক পরা কিংবা ভাল করে কথা বলতে পারাটাই সিনিয়র ও সাবেক খেলোয়াড়দের চক্ষুশ্যূল হওয়ার জন্য যথেষ্ট।’

শেহজাত মনে করেন তাঁর বাহ্যিক সৌন্দর্য্য টিমমেট ও সিনিয়র ক্রিকেটারদের ঈর্ষার কারণ ছিল। তিনি বলেন, ‘এই বিষয়টা আমার আগে জানা ছিল না। শৈশব থেকে আমি ক্রিকেট খেলি, কখনও ভাবিনি সুদর্শন হওয়ার জন্য মানুষ আমাকে হিংসা করবে। এর জন্য জায়গায় জায়গায় আমার এত শত্রু ছিল যেটা আসলে ভাবনারও বাইরে।’

পাকিস্তানের হয়ে ১৪০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন শেহজাদ। তবে ২০১৯ সালের পর পাকিস্তানের জার্সিতে আর খেলার সুযোগ পাননি তিনি। দারুণ প্রতিভাধর হিসেবে ক্যারিয়ারের শুরুতে খ্যাতি ছিল। একটা সময় খোদ বিরাট কোহলির সাথেও তুলনা হত। তবে, ইদানিং তিনি পাকিস্তান সুপার লিগেও (পিএসএল) সুযোগ পান না।

শেহজাদ বলেন, ‘দলে আরও কেউ কেউ এই পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিল। যদি আপনার ভক্ত-সমর্থক বাড়তে শুরু করে, মানুষ আপনাকে বাহবা দিতে শুরু করে, কিছু সিনিয়র ক্রিকেটার সেটা মানতে পারত না।’

লাহোরের আনারকলি থেকে উঠে এসেছেন শেহজাদ। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে এসে ক্রিকেটের শীর্ষ পর্যায়ে উঠেছেন তিনি। এই কারণেও নাকি বৈষম্যের শিকার হন তিনি।

বললেন, ‘‘আমি ছোট একটি এলাকা থেকে এসেছি। যখন আমি ক্রিকেট স্বীকৃতি পেলাম, তখন নিজেকে নিয়ে কাজ করেছি, ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটিয়েছি। কিন্তু পাকিস্তান দলে এটাই বিরাট সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছিল।’

ক্রিকেট বিশ্বে আজকাল তিনি আর প্রাসঙ্গিক না হলেও, নিজের ইউটিউব চ্যানেলে এখন বেশ জনপ্রিয় পাকিস্তানের সাবেক এই ওপেনার।

Share via
Copy link