সেদিন ড্রেসিংরুমে বাবরের সাথে কি ঘটিয়েছিলেন শাহীন?

সম্পর্কটা নাকি তাঁদের ভাল যাচ্ছে না। গুঞ্জন ওঠে কিছুদিন আগেই। আর নাম দু’টো যখন বাবর আজম ও শাহীন আফ্রিদি – যারা কিনা পাকিস্তানের অন্যতম দুই কাণ্ডারি, তখন নড়েচড়ে বসতেই হয়।

সময়টা ২০২৩, চলছিল এশিয়া কাপ। শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে যায় পাকিস্তান। ম্যাচের পর সাবেক অধিনায়ক বাবর আজম আর  শাহীন শাহ আফ্রিদির মধ্যে কথা বেশ কাটাকাটি হয়।

গণমাধ্যমে প্রতিবেদন হয় বাবর-শাহীনের ঝগড়া নিয়ে। সেই প্রতিবেদনে বলা হয়, শেষ বলে শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে যাওয়ার পর পাকিস্তান শিবিরে উত্তেজনা ওঠে তুঙ্গে । অভিযোগ আসে,বাবর কিছু সিনিয়র খেলোয়াড়দের পারফর্মেন্স নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। যারা ভালো করেছিলো তাদের প্রচেষ্টা বাবরকে স্বীকার করে নিতে বলেন শাহীন । আর তখনই সাঝঘরের উত্তেজনা ওঠে চরমে । পরিস্থিতি সামাল দিতে মোহাম্মদ রিজওয়ান এগিয়ে আসেন।

পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) এর নবম পর্ব চলমান। লাহোর কালান্দারসের একটি অনুষ্ঠানে শাহীন বিষয়টি সামনে নিয়ে আসেন। তিনি দলগত প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে সফলতা অর্জনের কথা বলেন।

শাহীন বলেন, ‘অন্য কারো কাছে আমাদের প্রমাণ করার কিছু নেই। মিটিংএ আমরা দল নিয়েই কথা বলি। সবার আগে পাকিস্তান। আমরা উভয়ই জানি পাকিস্তানের সুনাম বজায় রাখতে আমাদের দুই জনকেই ভালো খেলতে হবে। তাই, দেশের জন্য যা করতে হবে তা  আমরা নিজেরাই করবো, এর জন্য অন্য কাউকে আসতে দিব না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কেন ক্রিকেট খেলি? আমরা পাকিস্তানেরই জন্য খেলি। তাই, পরিবারের মধ্যে এই বিষয়গুলো যেমনভাবে দেখা হয়, আমাদেরকেও ঠিক সেভাবেই দেখতে হবে। কেননা, পাকিস্তান দলটিও আমাদের জন্য একটি পরিবার।’

লক্ষণীয় যে, বাবরের সাথে পরবর্তীতে যোগাযোগ করলে তিনি ম্যাচের ফলাফল যাই হোক নির্বিশেষে দলের সকলের প্রতি সম্মানের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। এটাই আসলে বড় ক্রিকেটারের লক্ষ্যণ।

তিনি বলেন, ‘সবাইকেই সম্মান করা হয়। আপনি দেখুন, আমরা যখন জয়ের কাছে যেয়েও হেরে যাই , তখন সবসময়ের মতই  ম্যাচ পরবর্তী একটা  মিটিং হয়। যা  মাঝে মাঝে তা ঝগড়া হিসেবে দেখানো হয়। তবে এমনটা কাম্য নয়। সম্মান সবার জন্য। আমরা একে অপরকে পরিবারের মতই ভালবাসি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link