বিশ্বকাপে যেমন উত্থান পতনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল, তেমনি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডেরও (পিসিবি) অস্থিতিশীল সময়টা কাটছে। স্বয়ং পিসিবি চেয়ারম্যান জাকা আশরাফকে নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক; আবার নানাবিধ বিতর্কে জড়িয়ে বিশ্বকাপের মাঝপথে প্রধান নির্বাচকের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন ইনজামাম উল হক।
এখন পর্যন্ত এই পদে নতুন কাউকে নিয়োগ দেয়নি পিসিবি। তবে কিংবদন্তি ক্রিকেটার আবদুল রাজ্জাকের ধারণা শহীদ আফ্রিদি-ই হতে যাচ্ছেন পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধান নির্বাচক। একটি টিভি শো-তে আলোচনা করার সময় এমন মন্তব্য করেন তিনি।
সেটার যৌক্তিক কারণও আছে বটে; সম্প্রতি দেশের প্রধানমন্ত্রী ও পিসিবি চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলাদাভাবে আলাদাভাবে বসেছেন ‘বুম বুম’ আফ্রিদি। পাকিস্তানের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার উল তাঁর সঙ্গে তৃণমূল ক্রিকেট, তরুণ ক্রিকেটারদের ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলার পাশাওাশি ক্রিকেট বোর্ডের গুরুত্বপূর্ণ কোন পদে যোগ দেয়ার আহ্বানও জানিয়েছিলেন।
এর পরেই আবার জাকা আশরাফের সঙ্গে কথা বলেছেন সাবেক এই অলরাউন্ডার, এমন তথ্য পাওয়া গিয়েছিল। সেখানে তাঁর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন পিসিবি কর্তা; একই সাথে এই তারকার অভিজ্ঞতা দেশের ক্রিকেটের উন্নয়নে ব্যবহার করার আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি।
এসব সাম্প্রতিক ঘটনার সূত্র ধরেই সম্ভবত আফ্রিদির নির্বাচক হবেন এমন কথা বলেছেন রাজ্জাক। এছাড়াও সদ্য সাবেক নির্বাচকের ব্যাপার নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মতামত প্রকাশ করেছিলেন তিনি।
সাবেক এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার বলেন, ‘আমার মনে হয় ইনজামাম উল হকের পদত্যাগ করা উচিত হয়নি। একটা মানুষ তখনই এই সিদ্ধান্ত নেয় যখন তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য হয়। যদি উক্ত কোম্পানির সাথে কোন অংশীদারত্ব নাই থাকে তাহলে ইনজামাম দরকার ছিল তদন্ত চালিয়ে যেতে দেয়া।’
মূলত তালহা রেহমানির মালিকানাধীন একটি প্রতিষ্ঠানের কিছু অংশিদারিত্ব এই কিংবদন্তি ব্যাটারের রয়েছে; আর এই প্রতিষ্ঠানটি বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ানদের মত দেশসেরা তারকাদের এজেন্ট হিসেবে কাজ করেই। সেজন্যই ইনজামামের বিরুদ্ধে বোর্ডের কোড অব কন্টাক্ট ভঙ্গের অভিযোগ, এবং ফলশ্রুতিতে দায়িত্ব অব্যাহতি নিয়েছেন তিনি।