বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে উজ্জ্বল নক্ষত্র ভাবা হয় সাকিব আল হাসানকে। তাই তো সারাক্ষণই তাঁর আলোতে উদ্ভাসিত হয়ে থাকে ক্রিকেটাঙ্গন; শুধু ব্যাটিং আর বোলিংয়ের পারফরম্যান্স নয়, মাঠের বাইরের নানান কর্মকাণ্ডের কারণেও আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হন তিনি।
এই যেমন, সম্প্রতি একটি অনলাইন জুয়ার সাইটের সঙ্গে জড়িয়েছে তাঁর নাম। বাবু৮৮ (BABU88) নামে একটি অনলাইন ক্যাসিনো ও ক্রিকেট এক্সচেঞ্জ সাইটের বিজ্ঞাপনে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। সেই বিজ্ঞাপনে সাকিবকে বলতে শোনা যায় যে, ‘বাবু৮৮’ সাইট বাংলাদেশের এক নম্বর স্পোর্টস প্লাটফর্ম। এখানে ক্রিকেটসহ বাকি সব খেলার আপডেট পাওয়া যাবে।
কিন্তু বাস্তবতা একেবারেই ভিন্ন, সাইটটিতে আসলে ক্রিকেট নিয়ে বাজি তো ধরা যায়। আবার চাইলে ক্যাসিনো, স্লট গেমের মতো বেটিং গেমও খেলা যায়।
এর আগে গত বছর আগস্টে বেটিং সাইট বেটউইনার নিউজের শুভেচ্ছাদূত হয়ে বিতর্কিত হয়েছিলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। ব্যাপক সমালোচনা ও বিসিবির শাস্তির হুমকিতে সেই চুক্তি শেষ পর্যন্ত বাতিল করতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি; যদিও বছর গড়াতেই আবার জড়িয়ে পড়েছেন এসবে।
বিসিবির এক কর্তা বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য একটি বড় ধাক্কা হিসাবে এসেছে। গত বছর বোর্ড এবং সাকিবের মধ্যে এত বড় বিশৃঙ্খলা হয়েছিল। ওই সময় বলেছিলেন তিনি আইন সম্পর্কে অবগত নন কিন্তু এখন? বিষয়টি নিয়ে অভ্যন্তরীণ আলোচনা চলছে। বোর্ড শিগগিরই সাকিবের সঙ্গে কথা বলবে।’
অবশ্য এই বাঁ-হাতি ব্যক্তিগতভাবে বাবু৮৮ এর সঙ্গে সম্পর্কে জড়াননি। ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলার সূত্র ধরেই বেটিং কোম্পানির জালে ধরা পড়েছেন তিনি।
কানাডায় অনুষ্ঠিত গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগের দল মন্ট্রিয়াল টাইগার্সের অফিসিয়াল পার্টনার ছিল এই প্রতিষ্ঠানটি। আর ভিনদেশী সেই টুর্নামেন্টে মন্ট্রিয়ালের হয়ে বেশ কয়েকটি ম্যাচ খেলেছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
যদিও চাইলে এড়িয়ে যাওয়া যায়, এমনটাই মনে করেন বিসিবি কর্তা; তিনি বলেন, ‘এটি ব্যক্তির উপর নির্ভর করে। আমাদের দেশে জুয়া নিষিদ্ধ, ধর্মেও নিষিদ্ধ। মুশফিক সহ সারা বিশ্বের অনেক মুসলিম ক্রিকেটার কিন্তু বেটিং কোম্পানির নাম গোপন রেখে খেলে।’
এখন দেখার বিষয় নাম্বার ওয়ান অলরাউন্ডারের এই বিতর্কিত কাণ্ডে কি প্রতিক্রিয়া দেখায় বিসিবি। দুই দুইবার নিয়ম ভাঙ্গায় বড় শাস্তি পাবেন তিনি নাকি পারফরম্যান্স আর রাজনৈতিক কারণে এবারও ছাড় দেয়া হবে তাঁকে?