বাবার পর ছেলের বিপক্ষেও সাকিব!

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রায় এক হাজার জন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলেছেন সাকিব আল হাসান। সংখ্যার বিচারে তিনি সবার চেয়ে এগিয়ে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে থাকা মুশফিকুর রহিম ও শচীন টেন্ডুলকার সংখ্যাটাকে নয়শো-তেও নিতে পারেননি। 

এই উদীয়মান তারকার আগে অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে সবশেষ যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে ম্যাচ সেরা হয়েছিলেন জশ হ্যাজলউড। হ্যাজলউড এখন অজি পেস আক্রমণভাগের অবিচ্ছেদ্য অংশ, তিন ফরম্যাটেই হ্যাজলউডের ধারাবাহিকতার প্রশংসা করতে বাধ্য যে কেউ। তিনিও কি সেই পথে হাঁটবেন? নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করবেন জনসন, লিলিদের কাতারে - উত্তর সময়ই বলে দিবে।

শরীরে বন্যতা, চোখে আগুন, দুই হাত প্রসারিত করে গোল উদযাপনে মত্ত ইতালির স্ট্রাইকার সালভাতর শিলাচি - ১৯৯০ সালের বিশ্বকাপের সবচেয়ে আইকনিক স্থিরচিত্র ভাবা হয় এটাকে।

তাঁর সেই ৭২ বলে অপরাজিত ৪২ রানের দেয়ালরূপ ইনিংসের তোড়ে ম্যাচ জেতে ভারত। হলেন ম্যাচ সেরা। চেন্নাই টেস্টেও যেন সেই রুদ্রমূর্তিই হয়ে উঠেছেন। ব্যাট করছেন ১০০ স্ট্রাইক রেটের নিচে।

যদিও রবীন্দ্র জাদেজার কাজটা শেষ হয়ে যায়নি, ব্যাট হাতে ইনিংস আরো বড় করতে হবে বটে। এরপর আবার বল হাতে টাইগার ব্যাটারদের ধসিয়ে দেয়ার পরিকল্পনাও তাঁর আছে। অশ্বিনের মত না হন, আইপিএলের সুবাদে তিনিও তো চেন্নাইয়ের সন্তান। তাই তো চেন্নাই টেস্টকে স্মরণীয় করে রাখতে সবটুকু করবেন নিশ্চয়ই।

একটা বিতর্ক হতে পারে, টেস্টে সেরা অলরাউন্ডার কে, সাকিব নাকি অশ্বিন? না মোটেও অবান্তর নয়। সময় ও পরিস্থিতি বিবেচনায় এ নিয়ে বিতর্ক হতে পারে।

সেজন্যই দু'জনের মধ্যে খানিকটা বাক্য বিনিময় হয়, তবে সে রকম গুরুতর কিছু হয়নি অবশ্য। লিটন দাস কেবল নিজের অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছিলেন।

মানে মাত্র শেষ দুই বছরেই মোট পাঁচজন ভারতের হয়ে টেস্ট ক্রিকেটে উইকেটের পেছনে দাঁড়িয়েছেন। একে মিউজিক্যাল চেয়ার না বলে উপায়ও নেই। ভারত পরীক্ষা-নিরীক্ষা কি একটু বেশিই করে ফেলছে না?

চমৎকার এক ব্যাটিং প্রতিভা জয়সওয়াল। তবে কিছু আগেই নাহিদ রানার আউটসাইড ডেলিভারিতে পেসে হার মেনেছেন। তবে এখনও এই সিরিজে আছে আরও তিনটি ইনিংস। সামনে আছে অগাধ সম্ভাবনা। তা কতটা কাজে লাগাবেন তা সময়ই বলে দেবে।