সাকিব আল হাসান – নামটা সব সময়ই ক্রিকেট বিশ্বে একই সাথে খুবই আলোচিত ও সমালোচিত। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন নিজের অবসরের রূপরেখা। সহস্র বিতর্কের জন্ম দেয়া বিশ্বের সেরা এই অলরাউন্ডার এত কিছু ছাপিয়েও ক্রিকেট জগতে করেছেন একচ্ছত্র রাজত্ব। এক সময়ে তো নামই হয়ে গেছিল তাঁর রেকর্ড আল হাসান।
আজকে নজর নিয়ে যাব সেই রেকর্ড আল হাসানের এমনই কিছু কীর্তির দিকে। যা ক্রিকেটীয় স্মৃতির পাতায় তাঁকে করেছে অমর। বাংলাদেশ ক্রিকেট কে সবাই এক কথায় চেনে বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডারের দেশ হিসেবে। ক্রিকেট বিশ্বে তিন ফরম্যাটেই তিনি সর্বোচ্চ প্রায় ১০ বছর ধরে ছিলেন র্যাংকিংয়ের এক নম্বর অলরাউন্ডার।
এর মধ্যে আবার ওয়ান ডে তে এই ধারা ছিল তাঁর প্রায় সাড়ে এগার বছর। এই সাকিবই আবার সবচেয়ে ছোটো ফরম্যাটে আড়াই হাজারের বেশি রান, সাথে ১০০ উইকেট নেয়া একমাত্র ক্রিকেটার। এই একই ব্যক্তিই আবার ওডিয়াইয়েই করেছেন দ্রুততম ৭৫০০ রান ও শিকার করেছেন ৩০০ উইকেট। সাদা বলে খেলা সাকিব কিন্তু লাল বলেও কম যাননা। শতাব্দির একমাত্র ক্রিকেটার যার এক ম্যাচে সেঞ্চুরির সাথে ১০ উইকেটের রেকর্ড আছে। ইতিহাসে ইংলিশ গ্রেট ইয়ান বোথাম-সহ এই কির্তি গড়েছেন আর কেবল ৪ জন।
সাকিবের ঝুলিতে আরেক টি রেকর্ড ও আছে। তিনি তৃতীয় সর্বাধিক সিরিজ সেরা হওয়া খেলোয়াড় (১৭ টি)। যার প্রথমে বিরাট কোহলি ও শচীন টেন্ডুলকার অবস্থান করছেন ২০ টি পদক সহ। যেহেতু এখনও সব ফরম্যাট থেকে বিদায়ের কথা বলেননি সেক্ষেত্রে তিনি এ রেকর্ডে প্রথমে আশার চেষ্টা এখনো করতে পারেন।
এতকিছুর মাঝে আরেকটা রেকর্ডের কথা না বললেই নয়। যেকোনো এক মাঠে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী ক্রিকেটার তিনি। বুঝতেই পারছেন কোন মাঠের কথা বলছি। হোম অব ক্রিকেট খ্যাত মীরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম।
নিঃসন্দেহেই সাকিবের ক্যারিয়ার ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম রেকর্ডে ঠাঁসা ক্যারিয়ার। হয়তো অনেক কিছুই তাঁর আর জেতা হয়ে উঠবে না। তবে, যদ্দুর গেছেন তাই বা কয়জন পারে?