এক ম্যাচ আগেই বিশ্বকাপ যাত্রার ইতি ঘটল সাকিব আল হাসানের। বাঁ-হাতের তর্জনীতে ফাঁটল ধরা পড়েছে তাঁর। ফলে, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শেষ ম্যাচটা খেলা হচ্ছে না বাংলাদেশের অধিনায়কের।
সব কিছু ঠিক ঠাক থাকলে সাকিবের জায়গায় টস করতে নামবেন দলের সহ-অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। একাদশের বাইরে কোনো অলরাউন্ডার বাংলাদেশের স্কোয়াডে নেই। ফলে, ১১ নভেম্বর পুনেতে অনুষ্ঠিতব্য ম্যাচে বাড়তি একজন বোলার নিয়েই মাঠে নামবে বাংলাদেশ দল। সেটা হবেন নাসুম আহমেদ কিংবা মুস্তাফিজুর রহমান।
দিল্লীতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যাটিং করার সময়ই চোট পান সাকিব। এরপর ম্যাচ শেষে করা হয় স্ক্যান। আর সেই স্ক্যান রিপোর্টেই আসে দু:সংবাদ।
সাকিবের বয়স এখন ৩৬। এর অর্থ হল চার বছর বাদের বিশ্বকাপটা খেলা তাঁর জন্য অসম্ভব। ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে তাই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচটাই সাকিবের শেষ ম্যাচ।
২০০৭ সাল থেকে শুরু করে চলতি বিশ্বকাপ পর্যন্ত বাংলাদেশের সবগুলো বিশ্বকাপ যাত্রার সঙ্গী ছিলেন সাকিব। টানা পাঁচটি বিশ্বকাপ খেলেছেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে সেটা মুশফিকুর রহিমের সাথে সর্বোচ্চ সংখ্যক বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ।
শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৮২ রান করেন ৬৫ বল খেলে। রান তোলেন ১২৬-এর ওপর স্ট্রাইক রেট নিয়ে। এর আগে বল হাতে নেন দু’টি উইকেট। বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেন, পান ম্যাচ সেরার পুরস্কার। বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ পাঁচটা জয়ে চারবারই সাকিবকে ম্যাচ সেরার পুরস্কার হাতে নিতে দেখেছে বাংলাদেশ।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ইতিহাসে তো বটেই, বৈশ্বিক দৃষ্টিকোণ থেকেও সেরাদের একজন সাকিব। ৩৬ টা ম্যাচে ৪৩ টা উইকেট, সাথে রান করেছেন ১৩৩২ রান। এক বার করে পাঁচটি ও চারটি উইকেট নিয়েছেন। দুটি সেঞ্চুরির বিপরীতে আছে ১১ টি হাফ সেঞ্চুরি। ব্যাটিং গড় ৪১.৬২, বোলিং গড় ৩৬.০৬, ইকোনমি ৫.১৪।
বিশ্বকাপ ক্যারিয়ারে এক শিরোপা বাদে সাকিবের আর তেমন কোনো অপূর্ণতা নেই। মাথা উঁচু করেই তিনি বিদায় জানাচ্ছেন বিশ্বকাপে। তবে, এবারের বিশ্বকাপ যাত্রাটা নি:সন্দেহে অধিনায়ক হিসেবে সাকিবের নামের পাশে খানিকটা বেমানানই হয়ে থাকল।