সাকিব আল হাসানের ফুটবল প্রেমের কথা কে না জানে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে সাকিব নিজেই জানিয়েছেন আর্জেন্টিনা ও মেসির প্রতি তাঁর প্রেমের কথা। ১৮ ডিসেম্বর রাতে আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জেতার পর সাকিব নিজেই গাড়ি চালিয়ে রাস্তায় নেমে এসেছিলেন বিশ্বকাপ জয় উদযাপন করার জন্য। এবার উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল দেখতে হাজির হলেন ইস্তাম্বুলে।
আঙুলের ইনজুরির কারণে আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টটি মিস করতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক সাকিব। ১৪ জুন থেকে শুরু হওয়া টেস্ট যে সাকিব মিস করছেন সেটি নিশ্চিত ছিলো আগেই। তাই ইস্তাম্বুলে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল দেখার সিদ্ধান্ত ও নিয়ে ফেললেন।
ইনজুরির কারণে টেস্ট স্কোয়াডে না থাকলেও হুট করেই মীরপুরে দেখা যায় সাকিবকে। সকালে বাংলাদেশে আসার পর দুপুরেই হাতের ইনজুরি নিয়েই সতীর্থদের সাথে ফিটনেস অনুশীলন করেন সাকিব। এরপরই ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের আসরের ফাইনাল ম্যাচ দেখতে তুরস্কের উদ্দেশ্যে উড়াল দেন সাকিব।
ইস্তাম্বুলের আতাতুর্ক অলিম্পিক স্টেডিয়ামে বসেই সাকিব দেখেছেন ম্যানচেস্টার সিটি ও ইন্টার মিলানের মধ্যকার ফাইনাল ম্যাচটি। বহুদিন ধরেই বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ওপ্পোর শুভেচ্ছাদূত সাকিব। এবার সেই ওপ্পোর সৌজন্যেই নিজের একটি স্বপ্ন পূরণ করলেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে সাকিব নিজেই জানিয়েছেন তাঁর এই স্বপ্ন পূরণের কথা। সাকিব লেখেন, ‘আমার কাছে মনে হয়েছে আমি কোন অলৌকিক ঘটনার সাক্ষী হচ্ছি ওপ্পোর সাথে আতাতুর্ক অলিম্পিক স্টেডিয়ামে বসে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল দেখার মাধ্যমে। আবেগ, দৃঢ়তা ও স্পোর্টসম্যানশিপের দারুণ প্রদর্শনী ছিলো এটা।’
সাকিব বরাবরই বলে এসেছেন লিওনেল মেসির বড় এক ভক্ত তিনি। প্রায়শই লিওনেল মেসির নামাঙ্কিত জার্সি পড়তে দেখা গেছে সাকিবকে। এবার মাঠে বসে লিওনেল মেসির খেলা দেখতে না পারলেও মেসির একসময়ের কোচ পেপ গার্দিওলাকে ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিততে দেখার সাক্ষী হলেন সাকিব।
সাকিব ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে। নিজের পরিবারের সাথে। সেখান থেকে দেশে ফিরেছেন গত সপ্তাহে। এখন পুরোদমে চলছে ৩৬ বছর বয়সী সাকিবের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া। এর মাঝে ইস্তাম্বুলে গিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল দেখে তিনি আবার চলেও এসেছেন দেশে।