সাকিব আল হাসান তো আছেনই, একই ম্যাচ দিয়ে লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে (এলপিএল) অভিষেক হল আরও দুই বাংলাদেশি লিটন দাস আর শরিফুল ইসলামের; কলম্বো স্ট্রাইকারসের হয়ে খেলেছিলেন পেসার শরিফুল, আর সাকিবের দলে ছিলেন লিটন। সবমিলিয়ে শ্রীলঙ্কার মাটিতে তাই দেখা মিলেছে এক টুকরো বাংলাদেশের।
শেষপর্যন্ত অবশ্য জয়ের হাসি হেসেছে সাকিব আল হাসানের দল গল টাইটান্স। কলম্বো স্ট্রাইকারসের দেয়া ৭৫ রানের টার্গেট আট উইকেট হাতে রেখেই টপকে গিয়েছে দলটি; গলের স্পিনার তাব্রাইজ শামসি একাই নিয়েছেন চার উইকেট। সেই সাথে ব্যাটে বলে অবদান রেখেছেন সাকিব আল হাসান।
তিন বাংলাদেশীর মধ্যে পারফরম্যান্সে সবচেয়ে উজ্জ্বল ছিলেন সাকিবই। নিজের করা প্রথম ওভারে কোন উইকেট না পেলেও খরচ করেছিলেন কেবল মাত্র তিন রান। পরের ওভারগুলোতেও একের পর এক ডট বল দিয়ে ম্যাচে ফিরতে দেননি প্রতিপক্ষকে। ব্যক্তিগত দ্বিতীয় ওভারে সাকিব দিয়েছেন চার রান আর তৃতীয় ওভারে সেটা ছিল স্রেফ এক রান।
দিনের স্পেল শেষ করতে ষোলতম ওভারে আবারো আক্রমণে আসেন এই বামহাতি; সে ওভারেও হাত খুলতে দেননি ব্যাটারদের, কোন রান করতে না দিয়েই ইফতেখার আহমেদের উইকেট। বোল্ড করে এই পাকিস্তানিকে ফেরান বাংলাদেশের অধিনায়ক।
সবমিলিয়ে ৩.৪ ওভারে ৮ রানের বিনিময়ে ১ উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। পুরো ইনিংসে ২২ বলে করে ১৫টি ডট করেছেন তিনি, বাউন্ডারি হজম করেননি একটিও। অথচ এসময় ইফতেখার, নওয়াজদের মত আন্তর্জাতিক মানের তারকাদের বিপক্ষে বোলিং করেছিলেন এই বাঁ-হাতি।
ব্যাটিংয়েও সাকিব নিজের কাজটা করেছেন, ১৫ বলে ১৭ রানের সময়োপযোগী ইনিংস খেলে দলের জয় নিশ্চিত করেছেন তিনি। সেই সাথে পুরো আসরে অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্স দিয়ে দলকে নিয়ে গিয়েছেন টেবিলের দুই নম্বরে।
যদিও তেমন কিছু করতে পারেননি লিটন আর শরিফুল। লিটন চার বলে করতে পেরেছেন এক রান; জেফ্রে ভেন্ডারসের বলে লং অফে ক্যাচ আউট হয়েছেন তিনি। অন্যদিকে শরিফুল এক ওভার হাত ঘুরিয়ে দিয়েছেন সাত রান, এরপর আর আক্রমণে আসতে পারেননি এই বামহাতি।
ম্যাচ জিতে দল পরের রাউন্ডে চলে যাওয়ায় লিটন অবশ্য আরো সুযোগ পেতে পারেন, কিন্তু শরিফুলকে এবার ফিরতে হবে দেশে।