শামীমের তাণ্ডবে আবারো হারল ঢাকা

চারটা বাউন্ডারি আর এক ওভার বাউন্ডারিতে ১৪ বলে করলেন ৩০ রান। 'পারফেক্ট ফিনিশার' বলতে যা বোঝায় তার ষোলোকলা পূর্ণ করেছেন তিনি এদিন ব্যাট হাতে। কার্যকারী, ঝড়ো, সুপার ক্যামিও- ইনিংসটা ব্যাখা করতে, চাইলেই যুক্ত করা যায় এমন অনেক বিশেষণ।

১২ বলে দরকার ২৩ রান। মনে হচ্ছিলো ম্যাচটা যেন হাত থেকে ফসকেই যাচ্ছে চিটাগং কিংসের। কিন্তু চিন্তা কি! ক্রিজে যে আছেন, শামীম হোসেন পাটওয়ারী। ফর্ম, আত্নবিশ্বাস সবেতেই তো ‘সব গাছ ছাড়িয়ে তাল গাছ এক পায়ে দাঁড়িয়ে’ রকমের পিকে আছেন তিনি। আবারও এদিন ঝড় তুললেন বাইশ গজে। দলকে এনে দিলেন দারুন এক জয়।

দেশে নাকি ফিনিশারের অভাব! টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অপরিহার্য এই পজিশনটার হাহাকার যে আজীবনের। অথচ এদিন যেন ফিনিশার দের নিয়ে মধুর সমস্যায় পড়ে গেল ক্রিকেট প্রেমিরা। নুরুল হাসান সোহান, সাব্বির রহমানের পর ব্যাট হাতে ঝড় তুললেন শামীমও।

১৯তম ওভারটা বল করতে এলেন মোসাদ্দেক হোসেন। স্ট্রাইকে গিয়েই ডিপ এক্সটা কাভার দিয়ে হাঁকালেন দৃষ্টিনন্দন ছক্কা। পরের বলটাতেই আবার ডিপ মিড উইকেট দিয়ে বল গড়িয়ে গড়িয়ে চলে গেল সীমানার বাইরে। ম্যাচ ততক্ষণে নিজেদের পকেটে প্রায় পুরে ফেলেছে শামীমের দল। তবু তার জন্য বড্ড তাড়া! ওভারের পঞ্চম বলে আবারও ঐ ডিপ এক্সটা কাভার দিয়ে আরেক চার। শেষ অবধি মোসাদ্দেক ওভার শেষ করলেন ১৮ রান হজম করে।

শেষ ওভারে যখন মাত্র ৫ রান প্রয়োজন তখন বিগ শট খেলার ঝুঁকি নেননি তিনি। ঠান্ডা মাথায় বুঝে শুনে তিন বল আগেই দলকে নিয়ে গেছেন জয়ের বন্দরে। চাপে না পড়ে কাউন্টার অ্যার্টাকে দলকে জয় এনে দিলেন হেসেখেলে।

চারটা বাউন্ডারি আর এক ওভার বাউন্ডারিতে ১৪ বলে করলেন ৩০ রান। ‘পারফেক্ট ফিনিশার’ বলতে যা বোঝায় তার ষোলোকলা পূর্ণ করেছেন তিনি এদিন ব্যাট হাতে। কার্যকারী, ঝড়ো, সুপার ক্যামিও- ইনিংসটা ব্যাখা করতে, চাইলেই যুক্ত করা যায় এমন অনেক বিশেষণ।

চার ছক্কার ডামাডোলে জমে উঠেছে বিপিএল। দেশীয় ফিনিশারদের বিধ্বংসী ইনিংস দেখে খুশি মনেই মাঠ ছাড়ছেন দর্শক। দেশের ক্রিকেটের জন্য এত বড় সুখবরই বটে।

Share via
Copy link